বিজ্ঞাপন

উত্তপ্ত ঢাবি ক্যাম্পাস, রাস্তায় আগুন-টিয়ারসেল (Developing Story)

April 9, 2018 | 12:06 pm

সারাবাংলা টিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় দিনের মতো চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে এই বিক্ষোভ চলছে। রোববার বিকেলে শুরু হয়ে পরে রাতভর বিক্ষোভ আন্দোলন ও তা নিয়ন্ত্রণে পুলিশি অভিযানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছিলো রণক্ষেত্রে। যার জেরে দ্বিতীয় দিনেও চলছে আন্দোলন।  যতই বেলা বাড়ছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ক্যাম্পাস। সেখান থেকে সারাবাংলার প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন প্রতি মূহুর্তের আপডেট।

বেলা ২টা ২০: কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন জানালেন তারা রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যাচ্ছে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বেলা ২টা ১০: পুলিশ দুই শর্তে টিয়ারসেল না ছুড়তে রাজি হয়েছে বলে দাবি কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের। তিনি সাংবাদিকদের জানালেন, পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বাংলা একাডেমির সামনে তৈরি করা বেরিকেডের ওপাশে না গেলে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হবে না। আর পুলিশের ওপরও কোনও ইট-পাটকেল ছোঁড়া যাবে না। এই শর্তে রাজি হয়ে বিক্ষোভকারীরা ফের রাজু ভাস্কর্যের দিকে সরে আসেন।

বিজ্ঞাপন

বেলা ২টা: পুলিশ দোয়েল চত্ত্বরে অবস্থান নিয়ে সেখান থেকে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করছে।


এসময় আন্দোলন কারীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ছে।  বাঁশ দিয়ে রাজু ভাষ্কর্যের চারিদিকে বেডিকেড সৃষ্টি করছে আন্দোলনকারীরা। টিয়ারশেলের ঝাঁঝ থেকে বাঁচতে আগুন বাঁশের টুকরোয় আগুন ধরিয়ে নিয়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

বেলা ১টা ৫৫: বাংলা একাডেমির সামনে থেকে পুলিশের টিয়ারসেল নিক্ষেপ। বিক্ষোভকারীদের অবস্থান রাজু ভাস্কর্যের সামনে।

বেলা ১টা ৫০: টিএসসি এলাকা থেকে পুলিশদের সরিয়ে দিতে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া। ক্যাম্পাসে পুলিশ নয়, এই স্লোগান দিতে দিতে বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে গেলে পুলিশ কিছুটা দূরে সরে গিয়ে অবস্থান নেয়।

বেলা ১টা ৪৫: দৈনিক প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক আবদুস সালামের ওপর চড়াও বিক্ষোভকারীরা।

বেলা ১টা ৪০: চ্যানেল ২৪’র রিপোর্টার রিপু আহমেদ মারধরের শিকার বিক্ষোভকারীদের হাতে।

বিজ্ঞাপন


তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার পা ভেঙ্গে গেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।

বেলা ১টা ৩০: ক্যাম্পাসে কাজী নজরুল ইসলামের মাজারের সামনের এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একটি পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। এরা ছাত্র লীগের কর্মী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

বেলা ১টা ২০: ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চারদিকের প্রবেশমুখগুলো ব্যারিকেড দিকে বন্ধ করা হয়েছে।

বেলা ১টা ১৫: কোটা সংস্কার আন্দোলনের খবর সংগ্রহে যাওয়ার পর বিক্ষোভকারীদের মারধরের শিকার হয়েছেন একাত্তর টেলিভিশনের রিপোর্টার নয়ন আদিত্য। লাইভ কাস্টের জন্য রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিলে তার ওপর চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা।

বেলা ১টা ১৫: মিছিলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান বাড়ছে। দলে দলে হল থেকে এসে তারাও যোগ দিচ্ছে বিক্ষোভে।

বেলা ১ টা ১০: শাহবাগে যারা অবস্থান নিয়েছেন তাদের সরিয়ে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।

সেখানে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের বাগ-বিতণ্ডা চলছে।

বেলা ১টা: মিছিলের একটি অংশ শাহবাগ এলাকায় এসে চত্ত্বরে অবস্থান নিয়েছে। ফলে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

বেলা ১২টা ৫০: হাজার হাজার শিক্ষার্থী রাজু ভাষ্কর্য এলাকা থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রাস্তা দখল করে অবস্থান নিয়েছে।

বেলা ১২টা ৪০: আন্দোলকারী এক শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে রিক্সা চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কামরুন নাহার মুন্নি নামের শিক্ষার্থীটি নাট্যকলা বিভাগের, চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। গতরাতে টিয়ারশেলের গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। দ্বিতীয় দিনের আন্দোলনেও নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন শামসুন নাহার হলের এই শিক্ষার্থী।

বেলা ১২টা ৪০: ইসমাইল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী ক্র্যাচে ভর করে ফের আন্দোলনে। রোববারের আন্দোলনে আহত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি।  অাহত অন্য যারা হাসপাতালে ছিলেন তারাও যোগ দিচ্ছেন আন্দোলনে।

বেলা ১২টা ৩৫: টিএসসির রাজু ভাস্কর্য ঘিরে জড়ো হচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। চারি দিক থেকে মিছিল এসে জমা হচ্ছে এখানে।

বেলা ১২টা ৩০: ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল টিএসসি থেকে নিলক্ষেত গিয়ে ফের ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছে। মিছিলের সামনে পেছনে পুলিশের শক্ত অবস্থান।

বেলা ১২টা ২০: আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, শ্লোগান নিয়ে ক্যাম্পাসে শামসুননাহার হলের ছাত্রীদের  বিক্ষোভ মিছিল।

বেলা ১২টা ১৫: বিক্ষোভকারীরা টিএসসিতে শুরু করেছে বিক্ষোভ মিছিল। কোটা সংস্কারের পক্ষে নানা স্লোগান দিচ্ছে।

বেলা ১২টা: দলে দলে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের মিছিল টিএসসি ও শহীদ মিনার এলাকায় যাচ্ছে।

বেলা ১১টা ৪০: পুলিশ নতুন করে অবস্থান নিচ্ছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে।

বেলা ১১টা ৩০: র‌্যাব, বিজিবি সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যাচ্ছে। টিএসসির চারিদিকে জলকামান, সাজোয়া যান।

বেলা ১১: ৩০: সেন্ট্রাল লাইব্রেরির দিকে জড়ো হতে থাকে ছাত্ররা।

বেলা ১১টা ৩০: আন্দোলনকারীদের আল্টিমেটাম। বেলা ১২টার মধ্যে আটক হওয়া ছাত্রদের ছেড়ে না দিলে বিকেল ৩টা থেকে দুর্বার বিক্ষোভ।

সারাবাংলা/এমএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন