বিজ্ঞাপন

মুরাদের নামে মামলা খারিজ

December 13, 2021 | 4:59 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল ভাষায় নারী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ দু’জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলার আবেদন খারিজের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এই আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলাটি গ্রহণের উপদান না থাকায় আদালত খারিজের নির্দেশ দেন। মামলার আরেক আসামি ছিলেন মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ।

আরও পড়ুন- মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের শুনানি শেষ, আদেশ পরে

বিজ্ঞাপন

গতকাল রোববার (১২ ডিসেম্বর) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়েরের আবেদন করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী। আদালত ছুটিতে থাকায় আজ সোমবার শুনানির দিন রাখেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ১ ডিসেম্বর ডা. মুরাদ হাসানের সাক্ষাৎকার নেন মামলার আরেক আসামি নাহিদ। সেই সাক্ষাৎকার ফেসবুক পেজ থেকে প্রচার করা হয়। ওই সাক্ষাৎকারে ডা. মুরাদ হাসান উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যাচার, নারী বিদ্বেষী, মানহানিকার অশ্লীল মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন- মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদনের শুনানি আজ

বিজ্ঞাপন

মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, আসামি ডা. মুরাদ হাসান সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদের তৃতীয় তফসিল অনুয়ায়ী যে সাংবিধিানিক শপথ গ্রহণ করেছিলেন, তা এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি লঙ্ঘন করেছেন। আসামিদের এই কর্মকাণ্ড ফেসবুকের মাধ্যমে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে সব মহলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে আসামি ডা. মুরাদের মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং জানাচ্ছে। আসামিদের এ কর্মকাণ্ড জিয়া পরিবার ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানসহ গোটা নারী সমাজের জন্য মানহানিকর ও অপমানজনক।

এ ধরনের মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের এ অপরাধ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারায় শস্তিযোগ্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয় মামলার এজাহারে।

আরও পড়ুন- মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

এদিকে, জাইমা রহমান সম্পর্কে এমন মন্তব্য ফেসবুকে প্রচারের এক দিন পরই চলচ্চিত্র নায়ক ইমন ও নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ডা. মুরাদের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। ওই ফোনালাপেও মাহিকে যৌন সহিংস কথাবার্তা বলতে শোনা যায় ডা. মুরাদকে।

বিজ্ঞাপন

এসব ঘটনার জের ধরে ডা. মুরাদকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডা. মুরাদ সেই নির্দেশনা মেনে পদত্যাগ করেন। পরদিনই তার পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় ডা. মুরাদকে।

এদিকে, মন্ত্রিত্ব ও জেলা আওয়ামী লীগের পদ হারানোর পর ডা. মুরাদ দেশত্যাগ করেন। তিনি কানাডার পথে রওনা দিলেও শেষ পর্যন্ত কানাডায় প্রবেশ করতে পারেননি। সেখান থেকে তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়। পরে গতকাল রোববার রাতে দেশে ফিরে এসেছেন ডা. মুরাদ।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন