বিজ্ঞাপন

র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চান কৃষিমন্ত্রী

December 18, 2021 | 4:11 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) বর্তমান ও সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্য কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করেনি। কিন্তু, তাদের সাধারণ নাগরিকরা সমর্থন করেছিল। অ্যাডওয়ার্ড কেনেডিসহ বিভিন্ন শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক মিডিয়া বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। এটা অবশ্যই অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার সব সময় ভুল করেছে। তারা সামরিক দিক থেকে, অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক শক্তিশালী; পৃথিবীব্যাপী তারা নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ চালায়। তার জন্য তেমন মূল্য দিতে হয় না। মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির চরম ভুল ছিল বাংলাদেশকে সমর্থন না করা, তারা (মন্ত্রী) মনে করেছিলেন এই অবস্থান থেকে তারা (আমেরিকা) বেরিয়ে আসবে। নানান কথা হয়েছে জানেন না সত্যতা কতটুকু; কিন্তু, ৭৫ সালের রাজনৈতিক দুর্ঘটনার পেছনে তাদের (আমেরিকা) হাত থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের যেভাবে মোকাবিলা করেছি সারা পৃথিবীতে তা প্রশংসিত হয়েছে। এটি করতে গিয়ে অনেক কৌশল ব্যবহার করতে হয়েছে। বিএনপির কোন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে? তারা প্রমাণ দেখাক? কোন বিরোধী দলের নেতাকে জেল-ফাঁসি দেওয়া হয়েছে? এই দেশ গণতান্ত্রিক দেশ, নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আছে, সংবিধানের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করছে।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা র‍্যাব এবং এর সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এটি অন্যায়, ভিত্তিহীন। মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিনীতভাবে জানাতে চাই কোনো মানবতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি। আইনের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হচ্ছে এবং র‍্যাব দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের বিরুদ্ধে।

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা (আমেরিকা) ভিয়েতনামে ভুল করেছেন, আফগানিস্তানের ভুল করেছেন। বিনীতভাবে অনুরোধ করি আপনারা যে পদক্ষেপ নিয়েছেন এটি কোনোক্রমেই সঠিক পদক্ষেপ হয়নি। এতে করে হয়তো বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। একটা দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল মনে হয় তার পা টেনে ধরছেন আপনারা। এটা সঠিক নয়। আমি বারবার আপনাদের বিবেকের কাছে আবেদন করতে চাই, আপনারা এটা রিভিউ করুন। অতি তাড়াতাড়ি এবং দ্রুত আপনারা এটাকে উইথড্র করে নেন।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ফজলে আলীর (এলাহী) সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এম এস ফরিদা খানম, সাবেক রাষ্ট্রদূত নীম চন্দ্র ভৌমিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা সভায় ৭১ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়।

বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের সাধারণ সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. ফজলে আলীকে চেয়ারপারসন, সাংবাদিক বাসুদেব ধরকে নির্বাহী চেয়ারপারসন এবং বীর মুক্তিযুদ্ধা মমতাজ চৌধুরীকে মহাসচিব করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ৭১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত নীমচন্দ্র ভৌমিককে সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা মনোনীত করা হয়েছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একেএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন