কক্সবাজারে গৃহবধূ ধর্ষণ: জড়িতদের শনাক্ত করেছে র‍্যাব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কক্সবাজার: ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও এক যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এতে করে এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন যুবককেই শনাক্ত করেছে র‌্যাব। স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন ওই তিন যুবক।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেল থেকে গতকাল বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় ওই হোটেলর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথমে দুই জনের পর তৃতীয় যুবকেও শনাক্ত করা হয়। তারা হলেন— আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল জয় প্রকাশ জয়া ও মেহেদী হাসান বাবু। যদিও পরে র‍্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনায় মেহেদী হাসান বাবুর সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন-

স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় শনাক্ত ২

কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই তিন যুবকের বাড়ি কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকায়। এর মধ্যে অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে, ইসরাফিল জয় প্রকাশ জয়া একই এলাকার মো. শফিকের ছেলে ও মদ ব্যবসয়ী কাশেমের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু। এখন জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত তিন জনকেই শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। একইসঙ্গে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলর ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, সামান্য ধাক্কাধাক্কির কারণে তারা আমার এত বড় ক্ষতি করল। বার বার হাতে-পায়ে ধরলেও তারা আমার স্ত্রীকে ফেরত দেয়নি। বেড়াতে এসেছিলাম বেতন পাওয়ার খুশিতে। এখন স্ত্রীর অবস্থা ভালো না। তাকে নিয়ে চিন্তায় আছি।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর লে. কর্নেল খায়রুল আমিন সরকার জানান, এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।

সারাবাংলা/এনএস