বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালিত হবে বড়দিন

December 23, 2021 | 5:34 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের বাকি মাত্র আর একদিন। ইতোমধ্যে উৎসবের সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন আয়োজকরা। বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর প্রতিটি চার্চ করা হয়েছে সুসজ্জিত। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে টানা দুই বছর পর এবার অনেকটা বড় পরিসরেই পালিত হচ্ছে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন।

বিজ্ঞাপন

আয়োজকরা জানিয়েছেন, পরিসর কিছুটা বাড়লেও এবারও স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনেই পালিত হবে বড়দিন। তবে এই উৎসবকে ঘিরে কোনো ধরনের হামলার আশঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাঁকরাইল চার্চে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

আর্চ বিশপ বিজয় এন ডি সকলকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা বড়দিনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হামলার আশঙ্কা করছি না। এর আগেও গীর্জাতে বড় ধরনের হামলা হয়নি। প্রশাসন আমাদের ডেকেছিল। তারা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত করেছেন। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সতর্ক আছি। পুলিশসহ নিজেদের ভলান্টিয়ারও নিরাপত্তায় কাজ করবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, করোনার প্রভাব এখনো আছে, ওমিক্রমনের প্রভাব দৃশ্যমান না। উৎসবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব আমরা। এখন নিয়মিত প্রার্থনা চলমান। এ উৎসবেও সকলে শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠানে অংশ নিবেন। বাইরে বড় কোনো জমায়েত হবে না। গীর্জায় প্রবেশ পথে স্যানিটাইজার মাস্ক থাকবে।

এসময় বড়দিন ও থার্টি ফার্স্টনাইট নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতে মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বড়দিন শব্দটা না উল্লেখ করলেও হতো।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন আমরা নিরাপদে উৎসব পালন করতে পারব।

এসময় যিশুখ্রিস্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, যিশুর বয়স যখন ত্রিশ বছর তখন সূর্যের আলো ও বৃষ্টি যেমন বর্ষিত হয় তেমনি ঈশ্বরের ভালবাসাও সকলের প্রতি বর্ষিত হয়। ঈশ্বর বলেছেন আমরা মানুষের সেবা করতে পৃথিবীতে এসেছি। যিশু বলেছেন, পাপীকে নয় পাপকে ঘৃণা করো। তিনি সব ধরনের মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। তিনি মৃত মানুষকে জীবন দান করেছিলেন। তিনি পৃথিবীতে স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, এবারের বড়দিন আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। কারণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। তিনি আমাদের শ্রেষ্ঠ উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতা। তিনি এ দেশকে একটি সংবিধান দান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর চালিকাশক্তি ছিল গভীর ভালবাসা। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছি। বঙ্গবন্ধু এমন দেশ চেয়েছিলেন যে দেশে ক্ষুধা, দারিদ্র, বৈষম্য থাকবে না। আমরা কৃতজ্ঞ সরকারের প্রতি কারণ সরকার আমাকে মর্যাদা দিয়েছে। সরকারের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য নারী ক্ষমতায়নে অনেক উন্নত হয়েছে। আমরা সরকারের উন্নয়নে অংশীদার হয়ে থাকতে চাই।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন