বিজ্ঞাপন

ইসলামী আন্দোলনও সংলাপে যাবে না

January 1, 2022 | 4:37 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে চলমান রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, ‘২০১২ ও ২০১৭ সালের সংলাপে অংশ নিয়ে আমরা চরমভাবে হতাশ হয়েছি। ২০১২ সালের সংলাপে গঠিত ইসি ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করেছে, যেখানে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। আর ২০১৭ সালের সংলাপের পর গঠিত কমিশন ১০১৮ সালে একটি চরম বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছে, যাকে অনেকেই মধ্যরাতের নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করে।’

মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘এসব কলঙ্কময় নির্বাচনের জন্য কমিশনকে রাষ্ট্রপতির জবাবদিহিতার আওতায় না আনায় আমরা হতাশ। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি কোনো রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তা ছাড়া অতীতের দুটি সংলাপে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের গঠনমূলক প্রস্তাবগুলো মূল্যায়ন করা হয়নি। যে দল রাষ্টপতি নির্বাচন করেছে, সেই দলের স্বার্থের বাইরে রাষ্ট্রপতি যেতে পারেন নি। অতীতের দুটি সংলাপ যেমন জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, চলমান সংলাপেও এর ব্যতিক্রম কিছু হবে না।’

বিজ্ঞাপন

‘সুতরাং জন–আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে এমন একটি আবেদনহীন ও তাৎপর্যহীন সংলাপে অংশ নেওয়াটা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সঙ্গত মনে করে না’- বলেন সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

সংবাদ সম্মেলনে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশের আমির। এর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনের সময় অন্তর্বতী জাতীয় সরকার গঠন, বর্তমান সংসদ নয়; রাজনৈতিক সংগঠন ও সমাজের স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল গঠন করে তাদের মাধ্যমে ইসি গঠনসংক্রান্ত আইন প্রস্তুত করে নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনে কোনো ধরনের অসততা, অদক্ষতা ও পক্ষপাত পাওয়া গেলে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের অপসারণের ব্যবস্থা রাখা, জনপ্রশাসন, আইন, স্বরাষ্ট্র ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্বাচনকালীন ইসির হাতে ন্যস্ত করা, নির্বাচনকালীন সহিংসতার প্রতিটি অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইসিকে দেওয়া এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দলীয় লেজুড়বৃত্তি করতে দেখলে তাদের স্থায়ীভাবে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, খন্দকার গোলাম মাওলানা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন