বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে হাসির খোরাক বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

January 2, 2022 | 1:45 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: যে দেশে পুলিশ প্রতিবছর হাজার মানুষকে মেরে ফেলে, সেখানে ১০ বছরে বাংলাদেশে ৪০০ জন মারা যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় হাসির খোরাক তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত কর্মকর্তা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে যে চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার আলোচনায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন মন্ত্রী।

চিঠিতে লেখা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের দেশে (যুক্তরাষ্ট্রে) তো বহু লোক মারা যায়। প্রতিবছরই হাজারখানেক লোক পুলিশই মেরে ফেলে। তো আপনারা ওইগুলোকে বলেন, কিলিং দ্য লাইন অব ডিউটি। আর আমাদের দেশে যখন এমন হয় তখন এ দেশের পত্রিকা বলে, এটি হয়েছে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং। দুটোই এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং।’

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘কারণ তারাও আইনের পথে যায় না। ওখানেও পুলিশ মেরে ফেলে, এখানেও মেরে ফেলে। কিন্তু সংখ্যায়, আপনার দেশে তো বছরে হাজারখানেক মারে। আর বলছেন এখানে ১০ বছরে ৪০০ লোক মেরে ফেলেছে। এগুলো তো হাসির খোরাক। মনে হচ্ছে, ওদের এই জিনিসগুলো ঠিক হয়নি। এগুলোই আমরা চিঠিতে লিখেছি।’

তিনি আরও বলেন, উনার সঙ্গে যখন আলাপ হয় তিনি তখন ডেমোক্রেসির কথা বলেছিলেন।

ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘আমাদের নতুন সরকারের ম্যান্ডেট হচ্ছে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র।’

বিজ্ঞাপন

উত্তরে মোমেন বলেন, ‘আমরা বলেছি, হ্যাঁ, গণতন্ত্রের কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমাদের দেশের ভিত্তিটাই হচ্ছে গণতন্ত্র।’

দুই দেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার সচেতনতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনার দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ২৬ শতাংশ মানুষ যদি ভোট মোটামুটি দেয় তাহলে ভালো নির্বাচন হয়েছে। আর আমার এখানে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট নরমাল বিষয়। আমাদের এখানে মানুষ এ বিষয়ে খুবই সচেতন।’

এই চিঠির উত্তর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখন তো ছুটি কাটাচ্ছে ওরা। পরে হয়ত জানাবে।’

এর আগে, গেল শুক্রবার সিলেটে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেছিলেন, তারা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অপেক্ষা করছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে।’

উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দমন-পীড়নের’ অভিযোগে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

সারাবাংলা/টিএস/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন