বিজ্ঞাপন

নির্বাচনি সহিংসতায় নিহত ৭

January 5, 2022 | 5:55 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় দেশে এখন পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম, মানিকগঞ্জ, ঝিনাইদহ, গাইবান্ধা, চাঁদপুর এবং বগুড়ায় নির্বাচনি সহিংসতায় এক জন করে মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদের মধ্যে, চট্টগ্রামের আনোয়ার উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের সিংহড়া রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ওমকার দত্ত (৪৮) নামে এক জন মারা গেছেন।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার সারাবাংলাকে বলেন, সংঘর্ষের মধ্যে প্রতিপক্ষের কিলঘুষিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওমকার। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।

বিজ্ঞাপন

ঝিনাইদহের শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনয়নে নির্বাচনি সহিংসতায় অখিল সরকার (৫৫) নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। শৈলকুপা থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক আমিরুজ্জামান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের জুমারবাড়ি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের বাইরে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের সংঘর্ষে ধারলো অস্ত্রের আঘাতে আবু তাহের নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়ার গাবতলীর রামেশ্বরপুর ইউনিয়নে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ভোট চলাকালীন নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ করেছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

চাঁদপুরের হাইমচরে ও কচুয়ায় নির্বাচনি সহিংসতায় দুই জন নিহত হয়েছেন। দুপুরের পর হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের বাহের চর এলাকায় ও কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে এক জনের নাম শরীফ হোসেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ।

এর বাইরেও, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বাচামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দেখে চরডালুটিয়া গ্রামের মো.মাহাতাব আলী স্ত্রী সুমেলা খাতুন (৫০) স্ট্রোক করে মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা।

সারাবাংলা/একেএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন