বিজ্ঞাপন

শান্তির জন্য রাজনৈতিক সংলাপ জরুরি: ব্রিটিশ হাইকমিশনার

April 10, 2018 | 7:21 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপকে উৎসাহিত করে ব্রিটেন। এ জন্য দেশটি সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ডিকাব টকে অংশ নিয়ে এ কথা বলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটেনের হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক।

গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা সফর করেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। ওই সফরে তিনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

বিজ্ঞাপন

হাই কমিশনার এলিনসন ব্লেক দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা সফরে এসে বরিস জনসন সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহমূলক নির্বাচনের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং বিরোধী দলগুলোকে রাজনৈতিক সুযোগ দেয়ার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।

এলিসন ব্লেক বলেন, তার দেশ কখনোই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। এ ধরনের কর্মকান্ডে ব্রিটেনকে কখনোই খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু কমনওয়েলথ ফোরামে আমাদের অন্যতম সহযোগী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, শুধু তাই নয় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ একাধিক আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। তাই যুক্তরাজ্য শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশকে প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করে। সেই সঙ্গে সবগুলো রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানকেও উৎসাহিত করে।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে টেকসই গণতন্ত্র উন্নয়নে যুক্তরাজ্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণতন্ত্র ছাড়া সুশাসন নিশ্চিত হয় না। গণতান্ত্রিক সমাজে বিরোধী দলসহ সকল রাজনৈতিক দলকেই জায়গা দিতে হবে। অন্যদিকে, একটি সমাজে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকলে ওই সমাজ সহজেই আলোকিত হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ব্রিটেন বিশ্বাস করে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ এবং সকল দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি উত্তম জায়গা। কিন্তু বিনিয়োগের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নেও কাজ করতে হবে।

যুক্তরাজ্য ডিএফআইডি’র (আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা) মাধ্যমে বাংলাদেশি শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে সহয়ূতা দিচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে বাংলাদেশকে যথাযথ সহায়তা দিবে দেশটি।

রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার এলিনসন ব্লেক বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে তার দেশ। শুধু তাই নয়, এই ইস্যূতে মিয়ানমারের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতেও কাজ করছে ব্রিটেন। পাশাপাশি গত আগস্টে এই সঙ্কটের পর থেকে এখন পর্যন্ত তার দেশ বাংলাদেশকে মোট ৫৯ মিলিয়ন পাউন্ডের সমপরিমাণ মুদ্রা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের যে দাবি উঠেছে তার সঙ্গে যুক্তরাজ্য একমত রয়েছে উল্লেখ করে এলিসন ব্লেক বলেন, রোহিঙ্গাদের যারা বাস্তুচ্যূত করেছে এবং নির্যাতন করেছে, সেসব নির্যাতনকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/এমএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন