বিজ্ঞাপন

শিল্প বর্জ্যে নদীর দূষণ রোধে অনলাইন মনিটরিং করা হবে

April 10, 2018 | 8:27 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: শিল্প-কারখানার বর্জ্যে নদীগুলোর দূষণ রোধে নতুন পদক্ষেপ হিসেবে অনলাইন মনিটরিং-এর নির্দেশনা দিয়েছি। অফিসে বসেই এসব শিল্প-কারখানার অনলাইন মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দশম জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের কার্যসূচি শুরু হয়।

ঢাকা-১৯ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এনামুর রহমান তার নির্বাচনী এলাকার শিল্প-করখানার তরল বর্জ্যে নদীগুলোর দূষণের কথা তুল ধরেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা উত্তর ও পশ্চিম দিক দিয়ে বংশী নদী এবং দক্ষিণ ও পূর্ব দিক দিয়ে তুরাগ নদী দ্বারা বেষ্টিত। এই নদীর পানি একসময় পরিষ্কার ছিল এবং অনেক মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে কোনো মাছ পাওয়া যায় না। পানি এতো দুর্গন্ধযুক্ত যে মাঝে মধ্যে নদী পথে যেতে হলে আমাদের নাক চেপে বসে থাকতে হয়। নদীতে কেউ গোসল করতে নামলে তার চুলকানি বা চর্মরোগ হয়।

বিজ্ঞাপন

শিল্প-কলকারখানার তরল বর্জ্য এর মূল কারণ বলে উল্লেখ করে তিনি জানান, সাভার-আশুলিয়া ও টঙ্গী-গাজীপুরের যে শিল্প-কারখানাগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তার বর্জ্য দূষণের কারণে এ নদীগুলোর পানি দূষিত হয়ে গেছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আইন আছে- প্রত্যেকটি শিল্পে অ্যাফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) বসাতে হবে। আমরা দেখেছি শিল্পগুলোতে ইটিপি বসানো হলেও ইটিপি ২৪ ঘন্টা কার্যকর থাকে না। বেশীরভাগ শিল্পই ইটিপি ব্যবহার করে না। পরিবেশ মন্ত্রণালয় জনবলের অভাব আছে। যার ফলে ঠিকমতো পরিদর্শন এবং মনিটরিং হয় না। তাই পরিবেশ মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকবল বৃদ্ধি করে এই ইটিপি ব্যবহার অত্যাবশ্যক করে নদীগুলোকে দূষণ করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না?

এর জবাবে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানান, বর্তমান আইনে, কোনো তরল বর্জ্য যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে আছে তারা ইটিপি ছাড়া কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান করতে পারে না। সমস্যা হয়েছে, যেগুলো পুরনো শিল্প-কারখানা আছে, সেই বর্জ্যগুলো আসলে নদীতে যাচ্ছে। আর যেগুলো নতুন, অনেকে ইটিপি বসিয়েছেন। কিন্তু ইটিপিগুলো ঠিকভাবে তারা পরিচালনা করছে না।

এ বিষয়ে জনবলের অপ্রতুলতার কথা স্বীকার করে মন্ত্রী আরও জানান, এ জন্য আমরা একটি নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। অলরেডি আমি অনলাইন মনিটরিং-এর নির্দেশ দিয়েছি। ৫০টি ফ্যাক্টরি সিলেক্ট করে অনলাইন মনিটরিং-এর বন্দোবস্ত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

আমরা আমাদের অফিসে বসেই মনিটরিং করতে পারবো। সেগুলোর জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই পদক্ষেপে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে দেখে, এটা দিয়েই যদি কন্টোল করতে পারছি তাহলে এটা বাধ্যতামূলক করা হবে।

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

 

 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন