বিজ্ঞাপন

রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু

January 17, 2022 | 9:17 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের। ইতোমধ্যেই, সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক কোটি সাত লাখ ৮২ হাজার ২৪৫ জন শিক্ষার্থীকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে, ১১ লাখ ৫৮ হাজার ১৫০ জনকে দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন। তবে, শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে মাঝে বন্ধ রাখা হয়েছিল দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগ।

রাজধানীর অধিকাংশ শিক্ষার্থীর প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পেয়ে যাওয়ায় তাদের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু করা হচ্ছে সোমবার (১৭ জানুয়ারি)। প্রথমদিকে ৯ কেন্দ্রে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। তবে, যে শিক্ষার্থীরা এখনও এক ডোজ ভ্যাকসিনও পায়নি তাদের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিনও প্রয়োগ করা হবে।

সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, রাজধানীর ৯ কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। ঢাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশই প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছে। আর তাই সোমবার থেকে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হবে। যারা এখনো প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পায়নি রাজধানীতে তারা বনানীর চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, ৩১ জানুয়ারির মাঝে শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শেষ করা যাবে। স্কুলের আইডি কার্ড দেখিয়েই ভ্যাকসিন নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সব শিক্ষার্থীকে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩৯৭টি উপজেলায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে, তিন উপজেলায় ১৭ জানুয়ারির মধ্যে, ৫৬ উপজেলায় ২০ জানুয়ারির মধ্যে, ১৫ উপজেলায় ২২ জানুয়ারির মধ্যে, ৩৫ উপজেলায় ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এবং ১১ উপজেলায় ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের চারটি স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণির ১২০ শিক্ষার্থীকে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন দিয়ে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয়।

এরপর ১ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার মধ্য দিয়ে ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। পরদিন আবার ঢাকার আটটি কেন্দ্রে একযোগে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়। এগুলো হলো- বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমন্ডির কাকলী স্কুল, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল।

২৬ নভেম্বর থেকে সারা দেশের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ধাপে ৪৭টি জেলা শহরে কেন্দ্র স্থাপন করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে সারা দেশের স্কুলগুলোতে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে ১২-১৮ বছর বয়সী মোট শিক্ষার্থী আছে এক কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। এখন পর্যন্ত অনেক জেলায় ৭০-৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও এমন কিছু জেলা রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রয়োগের হার ১০ শতাংশের নিচে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/একেএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন