বিজ্ঞাপন

সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করত চক্রটি: সিআইডি

January 17, 2022 | 5:09 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকারি চাকরির আশ্বাস দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির দাবি— চক্রটি সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে নিতো। পরে সেই টাকা ফেরত দিতে  টালবাহানা করত। এমনকি কারও কারও টাকা ফেরত দিত না।

বিজ্ঞাপন

সিআইডি বলছে— চক্রটি অভিনব কায়দায় বিশ্বাস অর্জন করে চাকরি দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। টাকা আত্মসাতের জন্য তারা ভুয়া নিয়োগপত্র দিত। চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে অগ্রিম টাকা নেওয়ার সময় ভুক্তভোগীর বিশ্বাস অর্জনে তারা ব্লাঙ্ক চেক ও ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্প নিতো।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রো সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন এ সব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘পল্টন থানায় প্রতারণার শিকার মিরাজুল ইসলাম নামে (৩১) এক ব্যক্তিসহ চারজন একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার (১৬ জানুয়ারি) চক্রের মূলহোতা হারুন অর-রশিদকে (৩৬) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।’

বিজ্ঞাপন

পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর-১৪ থেকে সেকেন্দার আলী (৩৪) ও মাসুদ রানাকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি দফতরের ভুয়া নিয়োগপত্র ৪টি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের তিনটি আবেদনপত্র, ভিকটিমদের স্বাক্ষরিত বিভিন্ন ব্যাংকের ব্লাঙ্ক চেক ৬টি, ভিকটিমদের স্বাক্ষরিত ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্প ২৪টি, মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সরকারি চাকরির জন্য সুপারিশকৃত ভুয়া ডিও লেটার ও বিভিন্ন ব্যক্তিদের ছবি ও অন্যান্য কাগজপত্র সংবলিত বায়োডাটা জব্দ করা হয়।

ইমাম হোসেন বলেন, ‘যেসব চাকরিতে পদ কম থাকে সেইসব চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায় চক্রটি। কারণ ওইসব চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বেকার যুবকদের চাকরির অফার দিলে অনেকেই রাজি হন। এরপর চক্রটি তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে নেয়। কাকতালীয়ভাবে কখনো কারও চাকরি হয়ে গেলে তার কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিতো চক্রটি।’

বিজ্ঞাপন

সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বিশ্বাস অর্জনের জন্য চক্রটি চাকরি পাওয়ার পর বাকি টাকা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। আবার ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্লাঙ্ক চেক ও ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্প নিয়ে বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করে যে, চাকরি আপনার হবেই। এভাবেই প্রতারক চক্রটি ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।’

শুধু তাই নয়, চক্রটি বদলি বাণিজ্যের সঙ্গেও জড়িত। বিভিন্ন মানবিক কারণ দেখিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে বদলিতে আগ্রহীদের জন্য তদবির করত চক্রটি। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।

সারাবাংলা/ইউজে/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন