বিজ্ঞাপন

‘কোটা নিয়ে ধৈর্য ধরুন, প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছেন’

April 11, 2018 | 1:22 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট:

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ও চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে জাতীয় সংসদে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে তিনি কথা বলবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছেন, আজই এ নিয়ে কথা বলবেন, সবাই ধৈর্য ধরুন।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির এক বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি সেদিন (সোমবার আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের দিন) যা বলেছি, আজও একই কথা বলবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পাঠিয়েছিলেন। কোটা ব্যবস্থা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। আমি সেই বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।

তাদের দাবি গুলো যৌক্তক ও ইতিবাচক ভাবে দেখা হচ্ছে। তারা আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে, সুর মিলিয়েছিলো। এরপর কী হলো! কেন আবারও কী কারনে তারা আন্দোলনে আছে? সেটি আমার জানা নেই? সরকারের প্রধানমন্ত্রী তার পার্টির সেক্রেটারিকে পাঠিয়েছিলেন এটাই সরকারের বক্তব্য। বিভিন্ন কথা হচ্ছে; কেউ পার্সোনাল কথা বলতেই পারেন। তিনি মন্ত্রী হতে পারেন, বড় নেতা হতে পারেন। সেটি তাদের নিজস্ব বক্তব্য। আমি যেটি বলেছি সেটিই সরকারের বক্তব্য।

বিভ্রান্তি ছাড়ানোর জন্য মতলবি গ্রুপ আছে এমন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথায় আস্থা রাখুন। কোটা আন্দোলনটা যেনো বিভক্তির রাজনীতির শিকার না হয়। আমারা এর মধ্যে খবর পেয়েছি, কিভাবে এ আন্দোলনকে কারও মুক্তির আন্দোলনে পরিণত করা যায়, তার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নেতৃবৃন্দকে বলবো দায়িত্বশীল আচরণ করতে। আর যারা আন্দোলন করছে তারাও যেন প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে বিশ্বাস রাখে।

বিজ্ঞাপন

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, এ মুহুর্তে আমাদের নেতাকর্মীদের বলবো ধৈর্যশীল থাকতে। দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করা যাবে না। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকরা গত ৯ বছর কোন সুজোগ পায় নি। কিন্তু এখন তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। আমি আপনাদের বলবো কারো রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হবেন না। শেখ হাসিনার সরকার ভুল হলেও ভুল সংশোধনের সৎ সাহস রাখে। মাঝখানে চিলে কান নিয়ে গেল, সবাই এখন সেটির পিছু পিছু।

তিনি আরও বলেন, স্পর্শকাতর সময় অতিক্রম করছে সরকার, এই সময়ে দায়িত্বশীল নেতাদের দায়িত্বশীল কথা বলা উচিত, দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বললে তা উসকানিমূলক হয়। তাই দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা না বলার অনুরোধ করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, অসীম কুমার উকিল, বিপ্লব বড়ুয়া ।

 

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এমএস

আরও পড়ুন:

হলে ফিরছি, তবে ছাত্রদের পাশে আছি’
এবার ছাত্রীদের ওপর চড়াও ছাত্রলীগ, ঢাবি ক্যাম্পাসে র‌্যাব
কার্জন হলেও দাঁড়াতে পারলেন না আন্দোলনকারীরা
আন্দোলন দমাতে পুলিশ-ছাত্রলীগ, ঢাবি ক্যাম্পাসে ভীতি-উত্তেজনা
পুলিশি হামলার প্রতিবাদে হল ছেড়ে রাস্তায় ঢাবি ছাত্রীরা
শাহবাগ থেকে আন্দোলনকারীরা ঢাবিতে, সংঘর্ষ চলছেই
কাঁদুনে গ্যাসে ছত্রভঙ্গ শাহবাগে আন্দোলনকারীরা
কোটা সংস্কার: মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা
কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন
ঢাবিতে ছাত্রী হলে মারধরের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেত্রী বহিষ্কার
হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ-খবর নিলেন ঢাবি ভিসি
বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকাল বন্ধ সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন