বিজ্ঞাপন

সংসদে ইসি বিল: বৈধতা পাচ্ছে আগের সব নির্বাচন কমিশন

January 23, 2022 | 2:14 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ইসি গঠন আইনে সার্চ কমিটির মাধ্যমে এর আগে গঠিত সব নির্বাচন কমিশনের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কমিটির কাজ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। এরকম বিধান রেখে রোববার (২৩ জানুয়ারি) ইসি গঠনের বিল সংসদে উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

২০১২ এবং ২০১৭ সালে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি ইসি নিয়োগ করেছিলেন, সে প্রক্রিয়াই আইনের অধীনে আনা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রোববার সংসদ অধিবেশনে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ উত্থাপন করেন। পরে বিলটি সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

এ আইন করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বিলে বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে, গণতন্ত্র সুসংহত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে এবং জনস্বার্থ সমুন্নত হবে।’

বিজ্ঞাপন

বিলে বলা হয়েছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতঃপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটির ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।’

এদিকে সংসদে উত্থাপিত ইসি গঠন আইনের বিলটি বিরোধী দল ও জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় উল্লেখ করে সংসদ থেকে এই বিল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি’র দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ।

তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখের সাথে বলতে চাই, এ সার্চ কমিটির মাধ্যমে বিগত যে দুটি নির্বাচন ও ভোটের মাধ্য নির্বাচন ব্যবস্থাকে এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’

বিজ্ঞাপন

হারুন বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। ওই কমিশনের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতি এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার অভিযোগ রয়েছে সে জন্য তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’

হারুন-অর-রশিদ সংবিধানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে যে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে বাংলাদেশ একটি নির্বাচন কমিশন থাকলে উক্ত বিষয় প্রণীত আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবে। ১১৮ অনুচ্ছেদের ৫ এ বলা আছে, যে কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে বচন কমিশনের কার্যাবলি রাষ্ট্রপতির আদেশ দ্বারা নির্ধারণ করবে সেইরূপ হইবে। ১২৬ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সহায়তা করা নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে কিন্তু তারা কর্তব্য পালন না করলে কি হবে তা বলা হয়নি। সুতরাং এই বিষয়গুলো যাতে আইনে রাখা হয় এটিই ছিল জনগণের, রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি।’

বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আইনমন্ত্রী যে আইনটি উত্থাপন করেছেন এই আইনে অতীতে দুটি নির্বাচন কমিশনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে। এ আইন প্রশ্নবিদ্ধ। এতে বর্তমান সংকটের কোনো সমাধান হবে না। তাই আইনটি প্রত্যাহার করা উচিত। প্রত্যাহার করুন।’

বিলে বলা হয়েছে—

বিজ্ঞাপন

১.রাষ্ট্রপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের শূন্য পদে নিয়োগদানের জন্য এই আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করবার উদ্দেশ্যে নিম্নবর্ণিত ৬ জন সদস্য সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন, তারা হলেন, (ক) প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত আপীল বিভাগের একজন বিচারক, যিনি ইহার সভাপতিও হবেন; (খ) প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক; (গ) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক; (ঘ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন; এবং (ঙ) রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত ২ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

(২) অনুসন্ধান কমিটি তাদের সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করবে ।

(৩) অন্যূন ৩ জন সদস্যের উপস্থিতিতে অনুসন্ধান কমিটির সভার কোরাম গঠিত হবে।

(৪) অনুসন্ধান কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকবে।

(৫) অনুসন্ধান কমিটি গঠনের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এর সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করবে

অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলিতে বলা হয়েছে—

(১) অনুসন্ধান কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করিয়া দায়িত্ব পালন করবে এবং এই আইনে বর্ণিত যোগ্যতা, অযোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, সততা ও সুনাম বিবেচনা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগদানের জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট সুপারিশ করবে।

(২) অনুসন্ধান কমিটি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে এই আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের অনুসন্ধান করবে এবং এতদুদ্দেশ্যে রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের নিকট হতে নাম আহ্বান করিতে পারিবে।

(৩) অনুসন্ধান কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির নিকট ২ জন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে।

৫। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারের যোগ্যতা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগদানের জন্য কোনো ব্যক্তিকে সুপারিশ করবার ক্ষেত্রে তার নিম্নরূপ যোগ্যতা থাকতে হবে:

এগুলো হলো—

(ক) তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে;

(খ) তার বয়স ন্যূনতম ৫০ বৎসর হতে হবে এবং

(গ) কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা-সরকারি বা বেসরকারি পদে তার অন্যূন ২০ বৎসরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৬। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারের অযোগ্যতা

এ ধারায় বল হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগদানের জন্য কোনো ব্যক্তিকে সুপারিশ করা যাবে না, যদি

(ক) তিনি কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত হন;

(খ) তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন;

(গ) তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন;

(ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন ২ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন;

(ঙ) তিনি International Crimes (Tribunals) Act, 1973 Act No. XIX of 1973) বা Bangladesh Collaborators (Special Tribunals ) Order , 1972 ( President’s Order No. 8 of 1972 ) এর অধীন যে কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়া থাকেন; বা

(চ) প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলেও পদের যোগ্য হবেন না। ।

সাচিবিক দায়িত্ব

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য – সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে ।

বিধি প্রণয়ন

এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, সরকার, রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে, আবশ্যক হলে, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

হেফাজত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতঃপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলে গণ্য হবে এবং উক্ত বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতি বলা হয়েছে— সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদে বিধান রয়েছে যে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোন আইনের বিধানাবলি-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করবেন।’

২। সংবিধানের ওই বিধান বাস্তবায়নকল্পে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে একটি আইন প্রণয়ন করা আবশ্যক। সেলক্ষ্যে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ ‘ শীর্ষক বিলের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।

৩। প্রস্তাবিত বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট সুপারিশ প্রদানের নিমিত্ত অনুসন্ধান কমিটি গঠন, অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের জন্য যোগ্যতা-অযোগ্যতা সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া প্রস্তাবিত বিলে অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নাম সুপারিশ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের নিকট হতে নাম আহ্বান করার বিধান রাখা হয়েছে। বিলটিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতঃপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের হেফাজত সংক্রান্ত বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

৪। প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে, গণতন্ত্র সুসংহত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে এবং জনস্বার্থ সমুন্নত হবে মর্মে আশা করা যায় ।

সংবিধানের আলোকে আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে গত ১৭ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে একটি বিধান আছে। যেখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দিতে পারেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ আইন করা হচ্ছে।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চার জন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে এবং এ বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধান সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন।

সংবিধানে সুস্পষ্ট একটি অনুচ্ছেদ থাকার পরও কোনো সরকারই আইন করার উদ্যোগ নেয়নি। সম্প্রতি সুশীলসমাজসহ বিভিন্ন ফোরাম থেকে আইনটি প্রণয়নের দাবি জোরদার হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন ছাড়াও দেশের বিশিষ্টজনেরাও ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান।

নতুন ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত যেই ২৫টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন, তাতেও বেশির ভাগ দল আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই আইনটি চলমান সংসদ অধিবেশনেই উত্থাপন ও পাস হওয়ার বিষয়ে আলোচনা ওঠে।

আরও পড়ুন-

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন