বিজ্ঞাপন

শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সমর্থনে শিক্ষকদের প্রতীকী অনশন

January 24, 2022 | 1:49 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সমর্থনে অনশনে প্রতীকী অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের অন্তত ২০ শিক্ষক।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর বারোটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই অনশন কর্মসূচি শুরু হয়।

এ সময় শিক্ষকরা ‘শিক্ষার্থীদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত কর’, ‘নেড়েছে কর্ণকুঠির, কেড়েছে ইজ্জত’সহ প্রভৃতি লেখাসম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

প্রতীকী অনশনে বসা শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন—জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজলী সেহরীন ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তাহমিনা খানম, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোসাহিদা সুলতানা রিতু, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের কাজী মারুফ, ইংরেজী বিভাগের তাসনীম সিরাজ মাহবুব, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের ফাহরিনা দূর্রাত, ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, মির্জা তাসলিমা এবং রেহনুমা আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

প্রতীকী অনশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা রিতু শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, শাবিপ্রবি ভিসির যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য তা মেনে নেওয়া যায় না। যে প্রক্রিয়ায় ভিসি নিয়োগ হয় গণতান্ত্রিক দেশে তা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়।

তিনি বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যেসব দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তার একটি ছিল হলে খাবারের নিম্নমান নিয়ে। তাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান চিত্র, দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিচ্ছবি।

কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন খান বলেন, শিক্ষক হিসেবে লজ্জার শেষ নেই। শিক্ষার্থীরা ১১৬ ঘণ্টা পার করে দিলো না খেয়ে। কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। শিক্ষার্থীদের অসহিষ্ণু করে ফেলার প্রক্রিয়া এটা।

বিজ্ঞাপন

উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গ টেনে অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন বলেন, উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান কারা, কাদের সরকার নিয়োগ দেয়—তা এখন স্পষ্ট। নিয়োগের ক্ষেত্রে একাডেমিক যোগ্যতার চাইতে ব্যক্তির মেরুদণ্ডটা কতটা নরম—তা দেখা হয়। মেরুদণ্ড যাদের নরম তারা বিবেকহীন হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর পরিবেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকেন। প্রতিদিন সকালে দেখেন সামনের সারিতে মাস্তান টাইপ ছেলেদের পেছনে মিছিল করছে শিক্ষার্থীরা। তাদের বাধ্য করা হচ্ছে। দিন নেই, রাত নেই স্লোগান দেওয়াচ্ছে। এসব দেখে শিক্ষকরা অসম্মানিত বোধ করেন না। অসম্মানিত বোধ করেন যখন ন্যায্য দাবির কথা ওঠে।

শাবিপ্রবিতে অনশনরত শিক্ষার্থী কাজল দাসের ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শ্যামল দাস বলেন, তিনি সকালে ঢাকা এসেছি। এসেই শুনতে পেয়েছি, অসুস্থ হয়ে তার ভাই কাজল দাস আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সে পরিষ্কার বলে দিয়েছে—ভিসির পদত্যাগের আগ পর্যন্ত সে অনশন ভাঙবে না। তিনি তার ভাইয়ের লড়াকু মনোভাবকে স্বাগত জানান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরআইআর/একেএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন