বিজ্ঞাপন

উপ-কমিটিতে এলিটের সদস্যপদ চূড়ান্ত হয়নি: শাম্মী আহমেদ

April 11, 2018 | 3:44 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিএনপি নেতার সন্তান নিয়াজ মোরশেদ এলিটকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটিতে পদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক উঠার পর এই বিষয়ে দলটির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদের বক্তব্য পাওয়া গেছে।

বুধবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে এই আওয়ামী লীগ নেত্রী সারাবাংলার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুরোধে তিনি উপ-কমিটির প্রস্তাবিত তালিকায় এলিটের নাম রেখেছেন।

বিজ্ঞাপন

তবে উপ-কমিটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আর উপ-কমিটিতে এলিটের সদস্যপদও চূড়ান্ত হয়নি, বলেন শাম্মী আহমেদ।

হঠাৎ আওয়ামী লীগে এলিটের পদ পাওয়া নিয়ে আগে থেকেই ছিলো চট্টগ্রামে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে সারাবাংলা.নেট এ ‘চট্টগ্রামের হাইব্রিড এলিট এখন কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা’ শিরোনামে প্রথম খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর সে নিয়ে কথা বলেন চট্টগ্রাম মেয়র। তার বক্তব্য নিয়ে ‘এলিট ছাত্রলীগ করেছিল, বললেন মেয়র নাছির’ শিরোনাম আরেকটি খবর প্রকাশিত হয়। এতে দলের ভেতর এলিটকে নিয়ে বিতর্ক আরও জোরালো হয়।

বুধবার আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব ড. শাম্মী আহমেদ এ বিষয়ে সারাবাংলার সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি নিয়াজ মোরশেদ এলিটকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। চট্টগ্রামের মেয়র (আ জ ম নাছির উদ্দিন) আমার কাছে এলিটের বিষয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছেন। মেয়র বলেছেন, এলিট ছাত্রলীগ করত। একজন সিনিয়র নেতা যদি কোন কথা বলেন, আমরা অবশ্যই সম্মান রাখার চেষ্টা করি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মেয়রের অনুরোধেই আমি আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির তালিকায় এলিটের নাম রেখেছি। এটি একটি প্রস্তাবিত উপ-কমিটি। চূড়ান্ত কোন কমিটি নয়।

প্রস্তাবিত কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীই কমিটি চূড়ান্ত করবেন।
এলিটকে নিয়ে বিতর্কের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অবহিত করবেন বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন শাম্মী।

তিনি বলেন, সামগ্রিক বিষয় আমি প্রধানমন্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদককে জানাব। চূড়ান্ত উপ-কমিটিতে এলিটকে রাখবেন কি রাখবেন না, সেটা উনারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।

সারাবাংলার খবরটিতে উল্লেখ ছিল- এলিট চট্টগ্রামের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের ঘনিষ্ঠজন। সিটি করপোরেশনেরবিভিন্ন প্রোগ্রামেও এলিটকে মেয়রের পাশে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

গত ৮ মার্চ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়, যাতে সদস্য হিসেবে যোগ দেন এলিট। সভায় দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকওবায়দুল কাদেরও ছিলেন। সেই সভার ছবি নিজেই ফেসবুকে দেন এলিট। এরপর থেকেই মূলত বিতর্ক শুরু হয়।

সারাবাংলার খবরে আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির ওই বৈঠকের একটি ছবি প্রকাশিত হয়, যাতে এলিটকে দেখা যাচ্ছিলো।

ওই বৈঠক সম্পর্কে শাম্মী আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির কোন ফরমাল মিটিং আমরা করিনি। ওটা ছিল একটা ইনফরমাল মিটিং। আমরা তো পত্রপত্রিকায় কোন বিজ্ঞপ্তিও পাঠাইনি। কারণ উপ-কমিটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

এদিকে উপ-কমিটির সদস্যপদ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে বুধবার (১১ এপ্রিল) সকালে বাসায় গিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের হাতে ফুল দেন এলিট। এসময় মেয়র তাকে মিষ্টিমুখ করান।

নিয়াজ মোরশেদ এলিটের বাবা মনিরুল ইসলাম ইউসুফ বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি। তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এলিটও আওয়ামী লীগ থেকে একই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ‘এলিট আওয়ামী লীগের কেউ নন’ বলে বিবৃতিও দেয়।

সারাবাংলা/আরডি/এমএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন