January 30, 2022 | 9:27 am
ওমর ফারুক হিরু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
কক্সবাজার: জেলায় পর্যটকের আকর্ষণীয় স্থান প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে জাহাজ যাত্রা রোমাঞ্চকর করে তুলছে দুইপাশের ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ানো গাঙচিল। এই পাখিগুলো যেন সেন্টমার্টিনে আগত অতিথিদের স্বাগত জানায়। একইভাবে জানায় বিদায়। গাঙচিলের এই বন্ধুসুলভ আচরণ মুগ্ধ করে ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাগর পথে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দুই-আড়াই ঘণ্টার পথ। যাত্রার পর পরই মাত্র দুই-তিন হাত দূরত্বে ঝাঁকে ঝাঁকে গাঙচিল জাহাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উড়ে। পাখির এমন বন্ধুসুলভ ব্যবহারে মুগ্ধ পর্যটক। তারা উপহার হিসেবে গাঙচিলকে চিপস, বিস্কুট, পাউরুটিসহ নানা শুকনো খাবারের টুকরো খেতে দেয়। পাখিগুলো এসব খাবার পানিতে পড়ার আগেই ছোঁ মেরে নিয়ে নেয়। পাখি আর মানুষদের এমন সর্ম্পক বাড়তি আনন্দের হয়ে উঠে ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে। তারা বলছেন- সেন্টামার্টিণ ভ্রমণে পূর্ণতা পাওয়া যায় পাখির এমন আমন্ত্রণে। তারা চায় এই পাখিগুলো যেন নিরাপদে থাকে।
সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাওয়া জাহাজ যাত্রী ইসমত আরা ইসু জানান, গাঙচিলের সঙ্গে ভ্রমণ করতে খুবই ভাল লাগছে। শুধু প্যাকেটজাত খাবার দিয়ে নয়। এই সুন্দর পাখিগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ।
সেজুতি নামে এক গৃহবধূ জানান, স্বামী তৌফিকুল ইসলাম লিপু’কে নিয়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ ছিল তার কাছে খুবই আনন্দের। তার মধ্যে বাড়তি আনন্দ যোগ হলো গাঙচিলের এভাবে স্বাগত জানানোর দৃশ্য।
শিশু ফাতেমা তাবাচ্ছুম মাইশা পাখিগুলোকে খাবার খাওয়াতে পেরে খুবই খুশি। তাকে খেতে দেওয়া চিপসটি সে পাখিগুলোকে খাইয়েছে। এতেই তার খুশির অন্ত নেই।
তৌহিদুল ইসলাম তোহা নামে এক পর্যটক জানান, পাখির এই বন্ধুত্ব সবার ধরে রাখা উচিৎ। এসব পাখির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব পাখি কোনোভাবে শিকার বা নিধন করা যাবে না। নয় তো এই চিত্র আর দেখা মিলবে না।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু জানান, সহজেই মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা গাঙচিলগুলোর বসবাস প্যারাবনে। কিছু অসাধু চক্র এসব প্যারাবন ধ্বংস করছে প্রতিনিয়ত। গাঙচিলসহ জীব বৈচিত্র রক্ষার্থে পরিবেশবান্ধব প্যারাবন রক্ষা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এসব পাখির নিরাপত্তা নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে সকলের প্রত্যাশা সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গাঙচিল আর মানুষের মাঝে এই বন্ধুত্ব যেন অটুট থাকে।
সারাবাংলা/এনএস