বিজ্ঞাপন

‘স্টপ জেনোসাইড মুক্তিযুদ্ধের প্রামান্য দলিল’

December 14, 2017 | 7:13 pm

তুহিন সাইফুল, এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

তখন বয়স ছিলো তেইশ। উদ্দাম সেই সময়ে কারো প্রেমে পড়বেন, ভবিষ্যত নির্মাণের স্বপ্নে বিভোর থাকবেন তাই ছিলো স্বাভাবিক। কিন্তু মাতৃভূমিকে দখলদার মুক্ত করার ডাক বলে কথা! সদ্য কৈশোর-উত্তীর্ণ যুবক নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু সেই ডাক উপেক্ষা করতে পারেননি। দেশকে স্বাধীন করার জন্য শুরু করেছিলেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে যাত্রা। সেই যাত্রা বিফল হয়নি। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের ছোট্ট এই জনপদকে তিনি এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা।

যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও নাসির উদ্দীন ইউসুফ শুরু করেন আরেক যুদ্ধ। নি:সঙ্গ এই যোদ্ধার নতুন রণক্ষেত্রের নাম হয় মঞ্চ। সেখানে যুদ্ধের নকশা আঁকার বদলে শুরু করেন নাট্যনির্দেশনা। অস্ত্র নয়, হাতে তুলে নেন দৃশ্যশিকারের ক্যামেরা। নির্মাণ করেন, ‘একাত্তরের যীশু’, ‘গেরিলা’র মতো কালজয়ী দুটি সিনেমা।


মুক্তিযোদ্ধা এই পরিচালকের দৃষ্টিকে একাত্তর সম্পর্কিত সবচেয়ে প্রিয় সিনেমা কোনটি? সারাবাংলার এই প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘স্টপ জেনোসাইড আমার প্রিয় সিনেমা। এটি কেবলই ছবি নয় বরং মুক্তিযুদ্ধের প্রামান্য দলিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রামান্য দলিল হিসেবে এটি অমূল্য, কারণ যুদ্ধদিনের সত্য ঘটনাগুলোকে সন্নিবেশিত করে এটি হয়ে উঠেছে গণহত্যার শিকার মানুষদের মহাকাব্য। এই ছবিটি কিন্তু সত্য, এটি ফিকশন নয়। এটি এমন এক ছবি যে গণহত্য নিয়ে কথা বলতে গেলে স্টপ জেনোসাইড নিয়ে কথা বলতে হবে। নন্দনতাত্ত্বিক ভাবেও এটি চমৎকার সিনেমা। এই সিনেমার অভিজ্ঞতা আমাদের চলচ্চিত্র দর্শনে আগে কখনো ছিল না।’

স্টপ জেনোসাইড সিনেমার প্রিয় দৃশ্যের বর্ণনায় নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘ছবিতে হেঁটে যাওয়া শরণার্থীদের মধ্যে এক অশতীপর বৃদ্ধের অসহায় চাহনী আমাকে খুব কষ্ট দেয়। এই দৃশ্যটি কোনদিনই ভুলবো না।’

সারাবাংলা/তুসা/এমএইচটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন