বিজ্ঞাপন

ছয় গোল, এক লাল কার্ডের ম্যাচে বার্সায় বিধ্বস্ত অ্যাটলেটিকো

February 6, 2022 | 11:20 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

শেষবার ২০২১ সালের আগস্টে প্রতিপক্ষের জালে চার গোল জড়িয়েছিল বার্সেলোনা।  এরপর প্রায় সাত মাস পর প্রতিপক্ষের জালে চার গোল দেওয়ার আনন্দে ভাসল কাতালান ক্লাবটি। সেটিও আবার অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জালে। যাদের বিপক্ষে শেষবার বার্সেলোনা জয় পেয়েছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। অর্থায় প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় পরে এসে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল কাতালান ক্লাবটি।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্প ন্যু’তে ছয় গোল আর এক লাল কার্ডের রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সেলোনা শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের ব্যবধানে জিতেছে। আর এতেই অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে টানা পাঁচ ম্যাচ জয় থেকে বঞ্চিত থাকার পর অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল বার্সা। এই ম্যাচে ৩৮ বছর বয়সী দানি আলভেজ গোল তো করেছেনই আবার লাল কার্ড দেখে মাঠও ছেড়েছেন। এদিকে দীর্ঘদিন বার্সার ৯ নম্বর জার্সিতে মাঠ মাতানো লুইস সুয়ারেজও গোল করেছেন তার বর্তমান ক্লাব অ্যাটলেটিকোর হয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত পারেননি দলকে জয় এনে দিতে।

অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে জয় দিয়ে লা লিগার শীর্ষ চারে ফিরেছে বার্সেলোনা। লিগ লিডার রিয়ালের চেয়ে ১২ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নেওয়ার জন্য লড়াইটা বেশ জমিয়ে তুলেছে বার্সা। ২২ ম্যাচে ১০ জয় ৮ ড্র আর ৪ হারে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের চারে বার্সেলোনা। আর সমান ম্যাচে ১০টি জয় আর সমান ছয়টি করে হার এবং ড্র’তে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে অবস্থান করছে অ্যাটলেটিকো। ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রিয়াল বেতিস, ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সেভিয়া আর ৫০ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ আছে টেবিলের শীর্ষে।

বিজ্ঞাপন

কেবল স্কোরশিটেই নয়, অ্যাটলেটিকোর ওপর ছড়ি গোটা ম্যাচ জুড়েই ঘুরিয়েছে বার্সেলোনা। ৫৭ শতাংশ বল দখলে রেখে ৯টি শট নিয়েছে বার্সা, যার মধ্যে ৪টি শট লক্ষ্যে আর সেই চারটিতেই গোল। অন্যদিকে অ্যাটলেটিকোও কম যায়নি। ১৩টি শটের মধ্যে চারটি লক্ষ্যে থাকলেও গোল আদায় করতে পেরেছিল মাতে দুটি। আর এতেই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে ম্যাচের।

ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচের বয়স তখন কেবল আট মিনিট। ডান দিক থেকে আক্রমণে উঠে ডি-বক্সের ভেতর আসতে করে ক্যারাস্কোকে লক্ষ্য করে ক্রস লুইস সুয়ারেজের। বার্সার সাবেক এই স্ট্রাইকারের কাছ থেকে বল পেয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে দেন ক্যারাস্কো। অ্যাটলেটিকো লিড নেয় ১-০ গোলের। তবে এর দুই মিনিট পর বার্সার ডান দিক থেকে দুর্দান্ত এক ক্রস আলবাকে দেন দানি আলভেজ। আর দীর্ঘদিনের সতীর্থর কাছ থেকে বল পেয়ে ভলিতে জালে জড়িয়ে দলকে সমতায় ফেরান আলবা।

বিজ্ঞাপন

এরপর গোটা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে কাতালান ক্লাবটি। ২০ মিনিটের মাথায় সদ্যই উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডার্স থেকে অ্যাডামা ত্রায়োরেকে উড়িয়ে আনা বার্সা যে ভুল করেনি তার প্রমাণ দিলেন এই আক্রমণভাগের খেলোয়াড়। ডান দিক থেকে দুর্দান্ত গতিতে বল নিয়ে গিয়ে ডি-বক্সে ক্রস করেন ত্রায়োরে। তার ক্রসে লাফিয়ে উঠিয়ে মাথা ছোঁয়ান গাভিরা। অ্যাটলেটি গোলরক্ষক জান অবলাকের গায়ে লেগে বল জালে জড়ায় আর বার্সা লিড নেয় ২-১ গোলের।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে এসে সেট পিস থেকে উড়ে আসা বল হেড করেন ফেররান তোরেস। কিন্তু তার হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হয় অ্যাটলেটিকোর রক্ষণ। সেই সুযোগে বল পেয়ে তা হেড করেই জালে পাঠিয়ে দলকে ৩-১ গোলের লিড এনে দেন আরাহো।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে গোলের হালি পূর্ণ করেন দানি আলভেজ। দীর্ঘসময় পরে বার্সায় ফিরে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেন এই কিংবদন্তি ফুলব্যাক। তবে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিল অ্যাটলেটিকোও। বার্সেলোনার সাবেক স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ ৫৮ মিনিটে হিমিনেজের কাছ থেকে বল পেয়ে জালে জড়িয়ে ব্যবধান ৪-২ করেন।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচে একটি অ্যাসিস্ট আর একটি গোল করা দানি আলভেজ নায়ক থেকে খলনায়কও বনে যেতে পারতেন। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ক্যারাস্কোকে পেছন থেকে গোড়ালিতে লাথি মেরে ফাউল করলে রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে লাল কার্ড দেখান আলভেজকে। এরপর ম্যাচের বাকি থাকা প্রায় ২২ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় বার্সাকে। ঘটে পারত যেকোনো অঘটনই। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের স্কোরলাইন আসেনি কোনো পরিবর্তন। আর এতেই দীর্ঘ দুই বছর পর অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে জয় পায় বার্সেলোনা।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন