বিজ্ঞাপন

কিছু টাকা জলে ফেলতে চাওয়ার গল্প

April 12, 2018 | 1:46 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

শেষ পর্যন্ত টাকা গুলো জলে পড়বে কি না, যানা যাবে গল্পের শেষে। উল্টোটাও হতে পারে, টাকা জলে না পড়ে প্রযোজকের পকেটে বা ব্যাংকেও ঢুকে যেতে পারে। কী হবে, তা জানা যাবে ১৩ এপ্রিলের পর। সেদিন শুক্রবার, মুক্তি পাবে ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমা। পরিচালনা করেছেন চিত্রনায়ক আলমগীর।

সিনেমার কাজের শুরুটা হয়েছিল ‘কিছু টাকা জলে ফেলতে চাওয়ার’ ইচ্ছা থেকেই। ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমার নায়ক আরিফিন শুভকে এ কথা বলেই তার কথা শুরু করেছিলেন আলমগীর। কেমন ছিল কথাটা? শুভ বললেন, ‘আলমগীর স্যার ফোন করে বললেন- শুভ কিছু টাকা জলে ফেলতে চাই, একটা সিনেমা বানাতে চাই। তুমি কি আমার সঙ্গে দেখা করতে পারবে?’ এভাবে ছবিটি নিয়ে ঢালিউডের নয়া ক্রেজ আরিফিন শুভর সঙ্গে আলমগীরের সাক্ষাৎ শুরু।

তবে সিনেমা নির্মাণের ভাবনাটা আরও আগে থেকে। ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমার ভাবনাটা আলমগীর প্রথম জানান তার স্ত্রী রুনা লায়লাকে। রুনা কিন্তু প্রথম দিকে খুব একটা রাজি ছিলেন না। সিনেমা বানানোর কথা শুনে রুনা বলেছিলেন, ‘আবার কেনো এত টেনশন নিতে যাচ্ছ তুমি?’ উত্তরে আলমগীর বলেছিলেন, ‘আমি সিনেমা বানাতে চাই আমার আবেগ থেকে, আমার দায়বদ্ধতা থেকে।’ এ কথা শুনে রুনা চুপ হয়ে গিয়েছিলেন, দ্বিতীয় কোনো কথা বলেন নি তিনি।

বিজ্ঞাপন

এই শুরু হলো ভাবনা, লেখা শুরু হলো চিত্রনাট্য। সব কিছু আলমগীর নিজেই করেছেন। আর গল্পটা? চারপাশ থেকেই তো নেয়া হয় সিনেমার গল্প। গল্পের জন্য এবার আলমগীর থেকেছেন নিজের জগতের মধ্যে। সিনেমা তৈরি থেকে শুরু করে মুক্তি পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট মানুষদের আবেগ, অনুভূতি, সমস্যা নিয়েই লেখা হয়েছে গল্প।

অনেকেই নাকি আলমগীরকে প্রশ্ন করছেন, ছবিতে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণাকে কেন নেয়া হলো? যেহেতু সিনেমাটি তৈরি হয়েছে দেশীয় সিনেমা জগতের ভেতরের গল্প নিয়ে, সেখানে দেশের অভিনয়শিল্পীরা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ‘যখন আমি সিনেমাটি নিয়ে ক্যামেরার পেছনের মানুষদের সঙ্গে বসি, সেই আলোচনায় সবাই ঋতুপর্ণাকেই পছন্দ করেছেন। দেশের সব অভিনেত্রীদের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, আমাদের সবার ভোটে, সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন ঋতুপর্ণা।’ কারণ বুঝিয়ে দিলেন আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

দুই বাংলাতেই জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমার নায়িকা তিনি। বাংলাদেশের অনেক ছবিতেই এর আগে অভিনয় করেছেন তিনি। মাঝে মাঝে এমনি ঘুরতেও চলে আসেন এদেশে। তাই বাংলাদেশে তার কাছে নতুন কিছু নয়। আর আলমগীরের সঙ্গে আগেও একই সিনেমায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমার বেশ কিছু মজার গল্প বলেছেন এই অভিনেত্রী। জানালেন পরিচালক নাকি না খেয়ে শুটিংই করতে যেতেন না। বলতেন ‘খাওয়া না হলে শুটিং হবে না’। আর কাজের ব্যাপারে না কি খুব খুঁতখুঁতে। এই কথার সঙ্গে সায় দিয়েছেন অভিনেতা আরিফিন শুভও। একমত হয়ে বলেন, ‘একটা টেক নেয়ার পর আলমগীর স্যার বললেন যে, খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু এটাও বললেন, চলো আরেকবার নেই।’

এমন আরও অনেক ঘটনা ও গল্পের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ‘একটি সিনেমার গল্প’ চলচ্চিত্রের শুটিং। অনেক ছবিতেই তো কাজ করেছেন ঋতুপর্ণা। কিন্তু কিছু কাজ থাকে যা অভিনয়শিল্পীকে সম্মৃদ্ধ করে, ঋতুর কাছে ‘একটি সিনেমার গল্প’ ঠিক সেই রকম একটি কাজ।

বিজ্ঞাপন

উপমহাদেশের অন্যতম সেরা গায়িকা রুনা লায়লা। ‘একটি গল্প কথার ঐ কল্পলোকে জানি’ শিরোনামের একটি গানের সুর করেছেন তিনি। তার ৫২ বছর সংগীত জীবনে প্রথমবারের মতো গানের সুর করলেন তিনি। তার সুর করা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আঁখি আলমগীর।

তবে আঁখি জানালেন এই গানটি প্রথমে তার জন্যই সুর করেছিলেন রুনা লায়লা। পরে আলমগীর গানটি ব্যবহার করেছেন সিনেমায়। এই গানের জন্য রুনার পরামর্শে এক মাস কোনো স্টেজ শো করেননি আঁখি। গানটি লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।

বুধবার ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক অনু্ষ্ঠানে সিনেমার এসব পেছনের গল্প জানিয়েছেন সিনেমার কলাকুশলীরা। এর আয়োজন করে বাংলা ঢোল। এখন চলছে সিনেমার প্রচারের কাজ। ১৩ এপ্রিল শুক্রবার সারাদেশে মুক্তি পাবে ছবিটি।

ছবি: রাজিন চৌধুরী

সারাবাংলা/পিএ/টিএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন