বিজ্ঞাপন

ভোটে হেরেও গেজেটে জয়ী!

February 9, 2022 | 11:57 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মো. আমিনুল ইসলাম। ভোটের দিন দিন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া আমিনুলকেই বিজয়ী ঘোষণা করেন। অথচ ওই নির্বাচনের গেজেট প্রকাশিত হলে দেখা গেছে, ওই নির্বাচনে আমিনুল ইসলামের পরাজিত প্রার্থী মো. আকবর আলীকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে!

বিজ্ঞাপন

গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে আমিনুল তালা প্রতীক নিয়ে ৬৭৩ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন মো. আকবর আলী। তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে পান ৫১৯ ভোট। আকবর আলীর চেয়ে ১৫৪ ভোট বেশি পাওয়ায় আমিনুলকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান।

এদিকে, মঙ্গলবার ওই নির্বাচনি ফলের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন আকবর আলী। এতে বিস্ময় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অনলাইন-অফলাইনে চলছে আলোচনা।

দেড় শতাধিক কম ভোট পেয়েও আকবর আলীর নাম গেজেট প্রকাশ নিয়ে তার সমর্থকদের দাবি— ভোটে কারচুপি করে আমিনুলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। এ কারণে সঠিক তথ্য দিয়েই গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তবে আকবর আলীর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে আমিনুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, বেসরকারিভাবে আমাকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। ভোটের ফল নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। এখন হঠাৎ কেন আমার বদলে আকবর আলীকে গেজেটে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো, বুঝতে পারছি না। গেজেট দেখার পর নির্বাচন অফিসে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান বলেন, বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলই চূড়ান্ত। সেই ফলে কোনো পরিবর্তনও আসেনি। কিন্তু প্রকাশিত গেজেটে পরাজিত প্রার্থীর নাম এসেছে। গেজেটের ভুলের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। শিগগিরই গেজেট সংশোধন করা হবে।

গত ৫ জানুয়ারি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একমাত্র কেন্দ্র পাররামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট নেওয়া হয়। এই ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৭১ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ২ হাজার ৫৬৬ জন ভোটার। ৬০৫ জন ভোটার অনুপস্থিত ছিলেন, ৯২টি ভোট বাতিল হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

এই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন সাত জন। আমিনুল ও আকবর ছাড়া বাকি প্রার্থীদের মধ্যে ৫০৮ ভোট পান তহিদুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম পান ৩৬৭ ভোট, সাইদুর রহমান পান ২২৮ ভোট, সাকিম আলী পান ১৭৭ ভোট এবং হোদাবুর রহমান পান ২ ভোট।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন