বিজ্ঞাপন

শাবিপ্রবি ভিসির দুঃখপ্রকাশ বার্তায় একগুচ্ছ ধন্যবাদ

February 12, 2022 | 2:39 pm

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলি ও লাঠিচার্জের ঘটনায় উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে সবমহলের কাছে দুঃখপ্রকাশের আহ্বান জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন উপাচার্য। তবে তার এ সংক্রান্ত বার্তায় দুঃখপ্রকাশের প্রসঙ্গের ইতি টেনেছেন এক বাক্যে। বার্তার বাকি অংশ ব্যয় হয়েছে ধন্যবাদ জ্ঞাপনে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সঙ্গে ধন্যবাদ পেয়েছেন স্থানীয় সুশিল সমাজ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সংবাদকর্মীরাও।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপাচার্য দুঃখ প্রকাশ করেন। গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক অবস্থা দ্রুত ফিরিয়ে আনতে শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে শিক্ষা উপমন্ত্রীসহ সরকারের সবস্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ সিলেটের সুশীল সমাজের সবাইকে এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিরসনে মিডিয়া কর্মীদের যারা দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন, তাদেরকেও জানাচ্ছি ধন্যবাদ।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে সব মহলের কাছে দুঃখ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত তাকে ভিসির দায়িত্ব পালন করে যেতে বলেন তিনি।

উপাচার্য্যের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ যারা আহত হয়েছেন, তাদের সবার প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে আমি আন্তরিকভাবে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। উক্ত ঘটনার ধারাবাহিকতায় সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের এই প্রিয় প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা সম্ভব হবে।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি শাবিপ্রবিতে আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। এদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের ছাত্রীরা।

পরে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায়। পরদিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে পুলিশ। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তা উপেক্ষা করেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলমান রাখেন শিক্ষার্থীরা। ১৯ জানুয়ারি দুপুর ২টা ৫০ মিনিট থেকে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন