বিজ্ঞাপন

ইভ্যালির অর্ধেক শেয়ার ৩ জনকে হস্তান্তরের অনুমতি

February 17, 2022 | 4:33 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে থাকা শেয়ারের ৫০ শতাংশ শেয়ার রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও তার ভায়রার মাঝে হস্তান্তরের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে ইভ্যালির বোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।

আদেশের পর আইনজীবী তাপস কান্তি বল জানান, ইভ্যালির মোট শেয়ারের ৫০ শতাংশ ইভ্যালির এমডি রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা দম্পতি তিন জনের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে বলে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। যে তিন জনের (রাসেলের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভায়রা) কাছে এই ৫০ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তর করা হবে তারা ওই শেয়ার অন্য কোথাও স্থানান্তর করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

আদালতের যথাযথ নির্দেশনা অনুযায়ী এসব শেয়ার হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের কিছু সংখ্যক শেয়ার তার আত্মীয়-স্বজনের নামে হস্তান্তরে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ইভ্যালির অন্তর্বর্তী পরিচালনা বোর্ডকে এ সহযোগিতা করতে বলা হয়।

রাসেল ও শামীমার আত্মীয়-স্বজনের মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর আজ লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।

আদালতে ইভ্যালির বোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন, ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টরের শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাই-বোন আজ আদালতে সশরীরে হাজির হন। তারা আদালতকে জানান, ইভ্যালি পুনর্গঠনের জন্য কাজ করছেন। যারা ইভ্যালির কাছে টাকা-পয়সা ও পণ্য পাবেন সেগুলো ফেরত দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চান তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একটা ডিরেকশন দেন, যাতে ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যানের যে শেয়ারগুলো আছে সেগুলোর মধ্যে কিছু সংখ্যক শেয়ার যেন তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান জেলখানায় অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় পুরো হস্তান্তর প্রক্রিয়া তাদের জেলখানায় থাকা অবস্থাতে হবে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও জেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে হবে। ওনাদের শেয়ারগুলো তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তখন তারা ইভ্যালি পুনর্গঠনের পাশাপাশি পরিচালনা বোর্ডকেও সহযোগিতা করতে পারবেন।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন