বিজ্ঞাপন

বইমেলায় বাড়ছে ক্রেতা, বিক্রিতে সন্তুষ্ট প্রকাশকরা

February 19, 2022 | 7:43 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার পঞ্চম দিনে মেলায় পাঠক-লেখকদের ভিড় দেখা গেছে। প্রতিটি স্টলেই কমবেশি বই বিক্রি চলছে। পাঠকরা বইয়ের সঙ্গে প্রিয় লেখকের অটোগ্রাফ সংগ্রহ করছেন। কেউবা ফ্রেমবন্দি হচ্ছেন প্রিয় লেখকের সঙ্গে। এদিকে মেলার প্রথম পাঁচদিনে ৫২২টি নতুন বই এসেছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানতে চাইলে প্রথমা প্রকাশনীর ম্যানেজার জাকির হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘অন্যবারের চেয়ে এবারের মেলা গোছানো মনে হচ্ছে। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিত ভালোই। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। এখন পযর্ন্ত আমাদের ৫৭টি নতুন বই এসেছে। আরও ২০টি বই আসার অপেক্ষায় রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তাম্রলিপি প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী নাবিল ফাইয়াজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার আরও বেশি ক্রেতা ছিল। সেই তুলনায় আজ ক্রেতা কম। তবে বিক্রি ভালো হচ্ছে।’

চন্দ্রবিন্দুর প্রকাশক কবি চৌধুরী ফাহাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘গতবার মেলার নামে মশকরা হয়েছে। এবার লোক সমাগম অনেক ভালো। বইয়ের বিক্রিও ভালো।’

বিজ্ঞাপন

মেলায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা শামীম বলেন, ‘গতবার মেলায় আসতে পারিনি। এবার মেলার পরিবশ ভালো। খুবই গোছানো মেলা মনে হচ্ছে।’

এদিকে, বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম চারদিনে নতুন বই এসেছে ৩৭৯টি। আর পঞ্চম দিনে এসেছে ১৪৩টি। অর্থাৎ মেলার প্রথম পাঁচ দিনে ৫২২টি নতুন বই এসেছে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার মেলা দুই সপ্তাহ দেরিতে শুরু হয়েছে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। রাত ৮টার পর কেউ মেলায় ঢুকতে পারবে না। তবে ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। এ ছাড়া মহান একুশে ফেব্রুয়ারির দিন মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে সাত লাখ বর্গফুট জায়গায় এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪২টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবারের মেলায় ৩৫টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।

এদিকে বিকাল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: উন্নয়নে নারী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জোবাইদা নাসরীন। আলোচনায় অংশ নেম ফওজিয়া মোসলেন এবং তাসমিমা হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাছিমা বেগম।

বইমেলার পঞ্চম দিনে লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি অসীম সাহা এবং অনুবাদক রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী। মূল মঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মতিন বৈরাগী এবং মারুফ রায়হান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, মাহিদুল ইসলাম এবং নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে ‘বেণুকা ললিতাকলা কেন্দ্র’-এর নৃত্যশিল্পীরা।

আগামীকাল মেলার ষষ্ঠ দিন মেলা চলবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এদিন বিকেল ৪ টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: বিশ্বশান্তি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জিয়া রহমান। আলোচনায় অংশ নেবেন জালাল ফিরোজ এবং খান মাহবুব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শ্যামসুন্দর সিকদার।

ছবি: সুমিত আহমেদ, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন