বিজ্ঞাপন

শহিদ মিনারে সবার পায়েই জুতা!

February 21, 2022 | 5:35 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

গাজীপুর: একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই সারাদেশের মতো গাজীপুরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারও একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর থেকেই জমজমাট। সব শ্রেণিপেশার মানুষের ঢল গভীর রাতেও। কিন্তু সেখানেই বিপত্তি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) টঙ্গীর শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হাসপাতাল প্রাঙ্গণে স্থাপিত শহিদ মিনারে দিবাত রাত ২টার দিকে দেখা গেল, সেখানে নেই কোনো ধরনের শৃঙ্খলা। যে যার মতো জুতা পায়েই উঠে পড়ছেন বেদীতে। কিছু সময় আগেও সুসজ্জিত শহিদ মিনারের মূল বেদী ততক্ষণে সম্পূর্ণ এলোমেলো।

মহান শহিদ দিবসের প্রথম প্রহরে টঙ্গীর এই শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহ্সান রাসেল। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার পরই স্থানীয়রা শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আর কোনো শৃঙ্খলার ধার ধারেননি।

বিজ্ঞাপন

ওই সময় দেখা যায়, ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষদের একটি বড় অংশ পায়ে জুতা-স্যান্ডেল পরেই উঠে গেছেন শহিদ মিনারে। শুধু তাই নয়, সেই অবস্থাতেই তারা বেদীতে দাঁড়িয়ে একাকী কিংবা দলবেঁধে তুলেছেন একের পর এক সেলফি।

এদিকে, কাউকে কাউকে শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার পর আবার বেদী থেকে ফুলের তোড়া নিয়ে চলে যেতে দেখা গেছে। কিছু কিশোরকে বেদী থেকে ফুল চুরি করে নিয়ে যেতেও দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার নিজের নিয়ে আসা ফুলটি নামমাত্র বেদীতে স্পর্শ করিয়ে আবার সেটি ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন নিজের সঙ্গে করে।

বিজ্ঞাপন

প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হলে শহিদ মিনারে যে সুশৃঙ্খল পরিবেশ এবং সুসজ্জিত রূপ ছিল, রাত ২টার পরের দৃশ্যপট ছিল সম্পূর্ণই ভিন্ন। ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানেই শহিদ মিনারের মূল বেদীসহ শহিদ মিনার প্রাঙ্গণের চিত্র একেবারে বদলে যায়।

এসময় দেখা যায়, শহিদ বেদীতে ফুলের তোড়ার বেশিরভাগই আস্ত নেই। কয়েকটি তোড়া দেখে মনে হতে পারে, এগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে ইচ্ছা করে। ঘণ্টাখানেক আগেও বেদীতে যে পরিমাণ ফুল দেখা যাচ্ছিল, ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে বেদীতে ফুলের পরিমাণও বেশ কমে গেছে।

শহিদ বেদীতে ফুল ও ফুলের তোড়া দেখভাল বা শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কোনো স্বেচ্ছাসেবক চোখে পড়েনি আশপাশজুড়ে। গোটা এলাকাতেও চোখে পড়েনি নিরাপত্তাকর্মীদের তৎপরতা।

বিজ্ঞাপন

ফুল দিতে এসে যারা জুতা-স্যান্ডেল পরেই বেদীতে সেলফি তোলার ‘উৎসব’ করেছেন, তাদের কেউ কথা বলতে রাজি হননি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে। তবে অনেকেই বলছেন, এরকম দিনে এরকম স্থানে সাধারণত স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতি থাকে, যারা সুশৃঙ্খলভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। নিরাপত্তাকর্মীরাও এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে পারেন। তবে এদের কারওই উপস্থিতি না থাকার কারণে এমন বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, যা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন