বিজ্ঞাপন

মনোনয়নপত্র বোর্ডেই জমা হয়নি, অভিযোগ অ্যাডভোকেট যুথির

March 1, 2022 | 12:27 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। সম্পাদক পদের প্রার্থী হিসেবে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ফরম সংগ্রহের পর প্রক্রিয়া মেনে জমা দেওয়া হলেও সেই ফরম দলীয় বোর্ডে উপস্থাপন করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

দাখিল করার পরও মনোনয়ন বোর্ডে জমা না হওয়ার বিষয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক বরাবর চিঠিও পাঠিয়েছেন।

ওই চিঠিতে অ্যাডভোকেট যুথী জানান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচন ২০২২-২০২৩ সনের বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের পক্ষে সম্পাদক হিসেবে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দলীয় নমিনেশন পত্র কেনেন তিনি। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

চিঠিতে তিনি বলেন, ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পারি, আমার জমাকৃত নমিনেশন পেপার, নমিনেশন বোর্ডে দুরভিসন্ধিমূলক ও বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।’ এ বিষয়টিকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির পরিপন্থী বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক বরাবর পাঠানো চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিষয়টি সুবিবেচনাপূর্বক তদন্ত করে নমিনেশন পদ্ধতি বিতর্কিত না করে গ্রহণযোগ্য করতে কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট যুথী সারাবাংলাকে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে দলীয় নমিনেশন একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জ্যোষ্ঠরা বসে ঠিক করেন। আমি মনোনয়নপত্র কিনেছি, জমাও দিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দুরভিসন্ধিমূলক ও বিতর্কিতভাবে আমার মনোনয়নপত্র দলীয় মনোনয়ন বোর্ডে জমা না দিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর মনোনয়ন বোর্ডে উপস্থাপনের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে মনোনয়ন বোর্ডে সেই তালিকা উপস্থাপনকালে আমার নাম কেটে দেওয়া হয়। মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা তালিকায় সম্পাদক পদে প্রার্থিতার একটি নাম কাটা দেখতে পেয়ে সেই বিষয়ে সদস্য সচিবের কাছে জানতে চান। তখন সদস্য সচিব এই বিষয়টি এড়িয়ে যান।’

বিজ্ঞাপন

মনোনয়নপত্র বোর্ডে জমা না দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট যুথী বলেন, ‘আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। এর আগে ২০০৮ সালে আমি নির্বাচিত ট্রেজারার ছিলাম। গোটা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি ৩২ বছর ধরে জড়িত আছি। আমি জানতে চেয়েছি— আমার মনোনয়ন পত্র বাদ দেওয়া হলো কেন। এটা জানা আমার অধিকার।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ চার বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে। সংগঠনটির সদস্য সচিব ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সংগঠনের দায়িত্ব ছেড়েছেন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদে স্থবিরতা বিরাজ করছে। একটি বিশেষ মহল সংগঠনটি অগণতান্ত্রিক উপায়ে নিজের মতো পরিচালনা করছে। এটি গণতান্ত্রিক সংগঠন। গণতান্ত্রিক ধারাই সংগঠনটিকে চালাতে হবে।’

সারাবাংলা/আইই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন