বিজ্ঞাপন

ফেসবুকে গুজব ছড়ানোয় সাইবার আইনে মামলা

April 13, 2018 | 8:33 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে যারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়িয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা করেছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। মামলার বাদী হয়েছে সাইবার ক্রাইমের বিভাগের উপ পরিদর্শক এস এম শাহজালাল।

শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে সাইবার ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার আলিমুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে রমনা থানায় এসআই শাহজালাল বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় এক ছাত্রের মৃত্যু ও এক ছাত্রীর পায়ের রগ কাটার গুজবের ঘটনাগুলোকে মূল বিষয় হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা গুজব ছড়িয়েছেন তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

বিজ্ঞাপন

রমনা থানরা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম জানান, সাইবার ইউনিটে স্থানান্তরিত মামলাটিতে  আসামির সংখ্যা ও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

সাইবার ক্রাইম বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জামায়াত শিবিরের বাঁশের কেল্লা পেজটি আন্দোলনের সময় সক্রিয় ছিল। তারাও নানাভাবে উস্কানি ছড়িয়েছে। তাদের অ্যাডমিনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয়ে ছড়ানো গুজবে ইমরান এইচ সরকারের ফেসবুক পোস্টসহ বেশ কিছু পোস্ট মামলার নথিতে যুক্ত করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর জড়িতদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে কতিপয় দুর্বৃত্ত ঢাবি ভিসির বাংলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তাণ্ডব চালায়।

মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলের কয়েকজন ছাত্রীকে রাতে মারধর করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে হলটির সভাপতি ইফাত জাহান এশাকে হল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

‘আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ছাত্রীর রগ কেটে দেওয়া হয়েছে’ এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন হল থেকে ছাত্ররা এসে হলটির সামনে জড়ো হয় এবং ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এরপর দেশে আন্দোলন তীব্র হয়। অবশেষে গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটাপদ্ধতি বাতিল করলে আন্দোলন স্থগিত হয়। শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম।

সারাবাংলা/ইউজে/এমআইএস/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন