বিজ্ঞাপন

‘জীবিতের চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী’

March 12, 2022 | 1:27 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জীবিতের চেয়ে মৃত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক বেশি শক্তিশালী বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন কে-ফোর্স’র ৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পরেই খুনি মোশতাক আহমেদ ও জিয়াউর রহমান ভেবেছিলেন এই দেশে আর কোনো মুক্তিযোদ্ধা থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে না, ইতিহাসকে তারা মুছে ফেলবে। কিন্তু তারা জানত না, জীবিত শেখ মুজিবুরের চেয়ে মৃত্যু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক বেশি শক্তিশালী।’

তিনি বলেন, ‘ওই সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে ছিলেন বলে গর্ব করে আজ আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিতে পারি। আপনারা দেখেছেন জিয়াউর রহমান সেই সময় কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। খালেদা জিয়া জামায়াতের নিজামীসহ রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন। গোলাম আজম ছিলেন পাকিস্তানের নাগরিক, যিনি সরাসরি স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বিরোধতা করেছেন। ওই জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া চেয়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধার ইতিহাসকে লুণ্ঠিত করে পাকিস্তানের ধারাকে এই দেশে সু-প্রতিষ্ঠিত করতে।’

বিজ্ঞাপন

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। স্বৈরাচারী জিয়ার রহমান বিরোধী আন্দোলন, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি আপোষহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেন। তখন অনেকেই হেসেছিলেন। ডিজিটাল প্লাটফর্ম কে-ফোর্স তার একটা অঙ্গসংগঠন। গত তিন বছরে করোনার মধ্যে ডিজিটালাইজেশন মাধ্যমে দেশকে দক্ষ হাতে এগিয়ে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার হাত ধরে সর্বক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন পৌঁছিয়েছে।’

কে-ফোর্সের সংগঠকরা জানান, প্রযুক্তির যেমন সুফল আছে, তেমনি আছে অপব্যবহার। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশ এখন প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছে অপপ্রচারের। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার রুখে দিচ্ছে অপপ্রচার। মাঠের রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। দেশবিরোধী গুজব সন্ত্রাসের কারণে দেশ জুড়ে অসন্তোষ ছড়াতে সচেষ্ট এই অপশক্তি। এদের প্রতিরোধ করতে বিগত ৭ বছর ধরে বাংলাদেশ বিরোধী গুজব অপপ্রচার রোধে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে কে-ফোর্স। আওয়ামী লীগের অনুসারী একঝাঁক যুব সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে গঠিত এই সংগঠন।

তারা আরও জানান, ২০১২ সালে যখন বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে। তখন বিএনপি-জামায়াতের অনুসারীরা অনলাইনে অপপ্রচার চালিয়ে গোটা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে। ওই সময় মুক্তিযুদ্ধ এবং সরকার বিরোধী সেসব অপপ্রচারের জবাব দিতে অনলাইনে সক্রিয় থাকা আওয়ামী সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বেশ কয়েকজন যুবক। এরপর সবাই সম্মিলিতভাবে জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সাফল্য জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরতে এবং স্বাধীনতা বিরোধী জোট জামাত শিবিরের সকল প্রকার অনলাইনে অপপ্রচার রুখতে তৈরি করা অনলাইন গ্রুপ, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ কে-ফোর্স। সারাদেশে এই গ্রুপের সদস্যের সংখ্যা এখন সহস্রাধিক, গঠন করা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ সেল। বাংলাদেশ বিরোধী কোনো গুজব পেলেই যেকোনো সদস্য গ্রুপে অবহিত করে এবং সেল কাউন্টার জবাব প্রস্তুত করে গ্রুপে দেয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— কে-ফোর্সের প্রধান উপদেষ্টা মাহজাবিন খালেদা, আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কে-ফোর্সের উপদেষ্টা ডা. হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, সৈয়দা সানজিদা মহসিন, ইকবাল মাহবুব বাবলু, আসাদুজ্জামান আজম ও রতন চন্দ্র পাল আরও অনেকে।

সারাবাংলা/এআই/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন