বিজ্ঞাপন

ঢাবির হলে শিক্ষার্থী পেটানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

March 26, 2022 | 7:01 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের একটি কক্ষে ঢুকে এক শিক্ষার্থীর উপর সংঘবদ্ধ হামলার অভিযোগ ওঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের পদ্মা-২০১০ নম্বর রুমে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার শিক্ষার্থীর নাম আখলাকুজ্জামান অনিক। তিনি ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী।

হামলার অভিযোগ এনে আখলাকুজ্জামান অনিক হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে তিনি ‘হামলাকারী’দের মধ্যে মোট চারজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন বলে উল্লেখ করেন। অভিযুক্ত চারজন হলেন- ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সফিউল্লাহ সুমন পিটার, মাসফিউর, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের, সাব্বির আল হাসান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নাইমুর রশিদ। এরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং এদের প্রত্যেকেই বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীবুর রহমান সজীবের অনুসারী বলে জানা গেছে।

অভিযোগপত্র মতে, সকালে ১০/১২ জন অনিকের রুমে ঢুকে তাকে স্ট্যাম্প দিয়ে মাথায় বাড়ি দেয় এবং মারধর করে। হামলায় তার মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখমের সৃষ্টি হয়। পরে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

বিজ্ঞাপন

হামলার বিষয়ে আখলাকুজ্জামান অনিক বলেন, ‘আজ সকালে ১০/১২ জন এসে আমাকে অতর্কিত মারধর শুরু করে। মারার সময় তারা বলে, গত ২৪ মার্চ রাতে নাকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমি আমার বন্ধুদের মাধ্যমে তাদের র‍্যাগ দিই ও হ্যারাজ করি এবং সেগুলো আমার ফোনে ভিডিও করি। অথচ আমি গত এক বছরেও উদ্যানে যাইনি।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল (২৫ মার্চ) বিকেলে হলগেটে আমার সঙ্গে মাসফিউরের দেখা হয়। তখন সে আমাকে বলে, আমাকে চিনতে পেরেছেন? গতকাল উদ্যানে আমিও ছিলাম। অথচ আমি উদ্যানেই যাইনি। রুমমেটদের থেকে জানতে পারি তারা নাকি রাতেও আমাকে রুমে খুঁজতে এসেছিল। পরে আজ সকালে এই ঘটনা ঘটে।’ তবে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করে ‌অভিযুক্ত চারজনের কাউকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো নির্দেশনা ছিল না উল্লেখ করে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীবুর রহমান সজীব বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমি আমার জায়গা থেকে দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মধ্যকার পূর্ব দ্বন্দ্ব থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। যারা আক্রমণ করেছে তাদের কেউই ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা নন, তারা কর্মী। এ ধরণের ঘটনার কোনো নির্দেশনা ছিল না। হল প্রশাসন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে। তবে ছাত্রলীগ কর্মী হোক বা না হোক, আমি যেহেতু হলের দায়িত্বে আছি সেহেতু বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাজে সহযোগিতা করব।’

বিজ্ঞাপন

বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। হলের আবাসিক শিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে তথ্য সংগ্রহ করতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে হল প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’

সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন