বিজ্ঞাপন

মার্চে ৮১ নারী-শিশু হত্যা, ধর্ষণ ৬৯

March 31, 2022 | 8:04 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চলতি মার্চ মাসে দেশে ৮১ নারী ও শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৬৯টি বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। ফেব্রুয়ারিতে দেশে ধর্ষণের ঘটনা ছিল ১০৩টি। তার আগে, জানুয়ারি মাসে এই সংখ্যা ছিল ৬৫টি।

বিজ্ঞাপন

সে হিসাবে ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চ মাসে ধর্ষণের ঘটনা কমেছে। কিন্তু, মোট ধর্ষণের প্রায় অর্ধেকই সংঘবদ্ধ, যা নতুন শঙ্কা তৈরি করছে। এমএসএফ’র তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মার্চ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৩৯৭টি।

যার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৬৯টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ২৩টি, ধর্ষণ ও হত্যা ৩টি। প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী ধষর্ণের শিকার হয়েছে ৬ জন।

ধর্ষণের শিকার ৬৯ জনের মধ্যে ৫৩ জন শিশু ও কিশোরী রয়েছে, অপরদিকে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭ জন কিশোরী এবং ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ২ জন শিশু ও কিশোরী রয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টা ২৪টি, যৌন হয়রানি ২৪টি ও শারীরিক নির্যাতনের ৪৪টি ঘটনা ঘটেছে। এসময়ে ৩৬ জন শিশু ও কিশোরীসহ মোট ৯৬ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন, যা গত মাসের তুলনায় ২৯ জন বেশী।

বিজ্ঞাপন

একই সময়ের মধ্যে, এসিড আক্রান্ত হয়েছে ২ কিশোরী। অপহরণের শিকার হয়েছে ২ শিশু। অপরদিকে ৪ শিশু, কিশোরী ও নারী নিখোঁজ হয়েছেন। এছাড়াও মার্চ মাসে ৮ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ মোট ৮১ শিশু, কিশোরী ও নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ২৭ জন শিশু ও কিশোরী রয়েছেন। প্রতিশোধ, পারিবারিক বিরোধ, যৌতুক, প্রেম সংক্রান্ত কারণে এ হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে।

মার্চে ২ ধর্ষণের ঘটনা সালিশে মীমাংসা করা হয়েছে। পৃথক দুইটি ঘটনায় অপর দুইটি সালিশে সাতটি পরিবারকে সমাজপতিরা এক ঘরে করে রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

মার্চ মাসে ১৩ জন মৃত ও ৩ জন জীবিত মোট ১৬ জন নবজাত শিশুকে বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ শিশুদেরকে কী কারণে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা নিরূপনের চেষ্টা করছে না জানিয়ে এমএসফ দাবি করছে চিকিৎসা অবহেলার কারণে আরও ২ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এমএসএফ মনে করে, দেশে ধর্ষণ, শিশু ও নারীদের প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন, শ্লীলতাহানি, যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের ঘটনা যে হারে ঘটে চলেছে তাতে করে সামাজিক সুরক্ষার পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায়দায়িত্ব বিশেষ করে সমাজে অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নজরদারি আরও জোরদার করতে হবে। নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতারোধে দেশে যথেষ্ট কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা লক্ষণীয় নয়। বিচারহীনতা, বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা এবং অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে।

সারাবাংলা/আরএফ/একেএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন