বিজ্ঞাপন

রমজানেও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, বাড়ল দ্বিতীয় ডোজের সময়

March 31, 2022 | 10:04 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি নিয়মিতভাবে চলবে রমজান মাসেও। একইসঙ্গে যারা গণটিকায় প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য তিন দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিতে আগামী রমজানে স্বাভাবিক নিয়মে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। ভ্যাকসিনের প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘সময়মতো আমরা ভ্যাকসিন পেয়েছি। যথা সময়ে ভ্যাকসিন আনা হয়েছে, টাকার সংস্থান করা হয়েছে। সময়মতো ভ্যাকসিনের সোর্স পাওয়া গেছে। অনেক দেশই ভ্যাকসিনের সোর্সিং করতে পারেনি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন কার্যক্রমে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। এ পর্যন্ত ১৩ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ এবং ১১ কোটির বেশি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে ৯৬ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রয়োগ একটা বিরাট কাজ এবং এখনও হাতে পাঁচ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। এছাড়া পাইপলাইনে রয়েছে আরও ছয় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন।’

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে করোনারোধী ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হয় ২৮ মার্চ। ৩১ মার্চ এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘এখনও যারা ভ্যাকসিন নেননি, তারা নিয়ে নিলে দেশ আরও বেশি উপকৃত হবে। আর এসব কথা বিবেচনা করে গণটিকা কার্যক্রম আরও তিন দিনের জন্য বাড়ানো হলো। এখন থেকে গণটিকা কার্যক্রম ৩ এপ্রিল পর্যন্ত আগের নিয়মে চলমান থাকবে। অর্থাৎ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি যাদের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া চলমান থাকবে আরও তিন দিন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডে বর্তমানে দেশ ভালো অবস্থায় আছে। চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গোটা দেশবাসী কোভিড নির্মূলে একযোগে একে অপরকে সহায়তা করেছে। তবে, এর মাঝেও টেলিমেডিসিন সেবা বৃদ্ধি, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, আইসিইউ সংখ্যা বৃদ্ধি, সময় মতো ভ্যাকসিন আনা, টাকার জোগান দেওয়া, ভ্যাকসিন সোর্স বের করাটাও কোভিড নির্মূলে কম ভূমিকা রাখেনি।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং সমাজকল্যাণবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন