বিজ্ঞাপন

লোকসানের আশঙ্কায় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ

April 1, 2022 | 10:48 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

দিনাজপুর: ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) অনুমোদনের শেষ মুহূর্তে বেশি বেশি পেঁয়াজ আমদানি করে বিপাকে পড়েছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। এ অবস্থায় নতুন করে আইপি দিলেও লোকসানের আশঙ্কায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনীহা তাদের।

বিজ্ঞাপন

২৯ মার্চ পুরনোর আইপি মেয়াদ শেষ হয়। পরে পবিত্র রমজান মাসে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি অনুমোদন দেয়। কিন্তু সরকার আইপি অনুমতি দিলেও ভারতে দাম বেশি ও বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় পেঁয়াজ আমদানি করছেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ক্রেতা না থাকায় বন্দরের আড়ৎগুলোতে ৩ হাজার মেট্টিক টনের বেশি পেঁয়াজ বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। সর্বশেষ চলতি সপ্তাহের গেল মঙ্গলবার পেঁয়াজ আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে। তারপর আর কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি এই বন্দর দিয়ে। দুই দিন ধরে বন্ধ রয়েছে পেঁয়াজ আমদানি।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালে হিলি স্থলবন্দর ও স্থানীয় আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, গেল মঙ্গলবারে আমদানি করা ভারতীয় ১১টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক ক্রেতা না থাকায় এখনো বন্দরে বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে। শুধু বন্দরে নয়, স্থানীয় আড়ৎগুলোতে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলে ক্রেতা না থাকায় পঁচে যাচ্ছে এসব পেঁয়াজ। আড়ৎগুলোতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবু হোসেন জানান, আইপির মেয়াদ শেষ হওয়ায় দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে আমরা বেশি বেশি পেঁয়াজ আমদানি করেছি। সরকার নতুন করে আইপি দেওয়ায় আমদানি করা সেই পেঁয়াজগুলো এখনো বিক্রি করতে পারিনি। বন্দরে ক্রেতা নেই অন্যদিকে পেঁয়াজের দাম অনেক কম; এবার অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে ব্যবসায়ীদের।

বিজ্ঞাপন

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, আইপি বন্ধের আশঙ্কায় ভারতে আটকে থাকা পেঁয়াজ বেশি বেশি আমদানি করে স্থানীয় আমদানিকারকরা। তবে সম্প্রতি সরকার নতুন করে আইপি দিলেও ভারতে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় এবং দেশের বাজারে দাম কম হওয়ায় লোকসানের আশংকায় পেঁয়াজ আমদানি করছেন না আমদানিকারকরা। স্থানীয় আড়ৎগুলোতে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে; সেগুলো অতিরিক্ত গরমের কারণে পঁচতে শুরু করেছে। বন্দরে ৩ হাজার মেট্টিক টনের বেশি পেঁয়াজ বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি, রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়বে না।

সারাবাংলা/এএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন