বিজ্ঞাপন

নুহাশের ‘ষ’ সিরিজের ১ম পর্ব ‘এই বিল্ডিংয়ে মেয়ে নিষেধ’

April 6, 2022 | 4:50 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট

হরর ঘরানার ৪টি ভিন্ন গল্প নিয়ে নুহাশ হুমায়ূন নির্মাণ করেছেন অ্যান্থোলজি সিরিজ ‘ষ’। মুখে মুখে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার, লোককথার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আবহে তৈরি এই সিরিজ। ‘মাছ রাঁধলে পেত্নী আসে’ এই প্রচলিত লোককথা থেকে ‘ষ’ এর প্রথম পর্ব ‘এই বিল্ডিংয়ে মেয়ে নিষেধ’।

বিজ্ঞাপন

এটি নুহাশ হুমায়ূনের তৈরি প্রথম ওয়েব সিরিজ। এছাড়া সিরিজটির মাধ্যমে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি এই প্রথম ভৌতিক ঘরানার কোনো কনটেন্ট মুক্তি দিতে যাচ্ছে।

একাকী যুবক একদিন বাসায় মাছ রাঁধতে গিয়ে আবিষ্কার করে এক রহস্যময়ী আগন্তুককে। কিন্তু সেই বিল্ডিংয়ে তো মেয়ে নিষেধ। তবে কোথা থেকে আসলো সেই মেয়ে। এমন একটি গল্প নিয়েই এগিয়েছে ‘এই বিল্ডিংয়ে মেয়ে নিষেধ’-এর গল্প।

৪ পর্বের তারকাবহুল এ সিরিজের এই পর্বে মূল ভুমিকায় দেখা যাবে সোহেল মন্ডল ও শিরিন আক্তার শিলাকে। ৭ এপ্রিল রাত ১০ টা ৫৯ মিনিট থেকে চরকির পর্দায় দেখা যাবে ‘এই বিল্ডিংয়ে মেয়ে নিষেধ’।

বিজ্ঞাপন

অভিনেত্রী শিরিন আক্তার শিলা বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষের কথার কারণে এক সময় আমার নিজের উপর থেকে নিজের বিশ্বাস উঠে যায়। আমি মনে করতাম আমাকে দিয়ে মনে হয় অভিনয় সম্ভব হবে না। আমার এই চিন্তা-ভাবনা দূর করার জন্যই এই বিল্ডিং এ মেয়ে নিষেধ সিরিজে কাজ করা। যেখানে অভিনয় সবকিছু, সৌন্দর্য নিজের মাঝে।

‘এটা আমার জীবনে প্রথম প্রজেক্ট। কাজটা করে আমি অনেক খুশি। চরিত্রটা করার জন্য আমি আমার আই-ব্রো পুরো শেভ করে ফেলছিলাম। দুই মাস আই-ব্রো ছাড়া ছিলাম। যা আমার জন্য একটা নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। সহ-অভিনেতা, পরিচালক থেকে শুরু করে সকলেই অনেক সাহায্য করেছেন। এখন দর্শকরাই বলবে কাজটা কেমন হয়েছে। আমি শুধু আমার চেষ্টা চালিয়ে গেছি।’

অভিনেতা সোহেল মন্ডল বলেন, ‘হরর কনটেন্টে কাজ করতে হলে পুরা টিম মানে কাস্ট এন্ড ক্রু সবাইকেই পরিশ্রম করতে হয়। আর ভৌতিক কনটেন্ট প্রেজেন্টের ক্ষেত্রে যে মেক-আপ, গেট-আপ নেয়াটাও বেশ কষ্টসাধ্য। আর সে জায়গা থেকে নুহাশ তো সবসময় ইন্টারেস্টিং কজ করতে চায়। সব মিলিয়ে আমরা প্রচণ্ড মজা নিয়ে কাজটা করেছিলাম তবে কষ্টও করতে হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সহ অভিনেত্রী শিরিনকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘শিরিন এই সিরিজে দুর্দান্ত কাজ করেছেন। তিনি প্রচণ্ড ডেডিকেটেড ছিলেন। তিনি যে মেক-আপটা নিতেন সেটার জন্য প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা সময় লাগত। কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যেও তিনি বিরক্ত হননি। পুরো সিরিজে তার কোনো সংলাপ নেই কিন্তু সিরিজ জুড়েই সে। দর্শক সিরিজটি দেখলেই সেটা বুঝতে পারবেন আশা করি।’

পরিচালক নুহাশ বলেন, ‘কিছু বাংলা ভূতের গল্প আছে আমাদের সবার শোনা। মাছ রাঁধলে পেত্নী আসে, মিষ্টির দোকানে রাতে জ্বীন আসে, নিশির ডাক শুনতে নেই, খোলা চুলে সন্ধ্যায় বের হতে নেই। এইসব ক্লাসিক বাংলা ভূতের গল্প কিন্তু আমাদের ঐতিহ্য। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের অলিখিত গল্প। এই গল্পগুলোকে এক স্ক্রিন আনার সময় এসেছে। এই গল্পগুলো উপলব্ধি করার সময় এসেছে। পেটকাটা ‘ষ’-তে সেই ক্লাসিক গল্পগুলোকে নতুন করে উপস্থাপন করেছি।’

সারাবাংলা/এজেডএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন