বিজ্ঞাপন

পৃথক ২ ধর্ষণ মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন

April 12, 2022 | 5:22 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীতে ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী এবং আরেক কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি হলেন- সাইফুল ইসলাম। ধর্ষণের দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।

আর অপর কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- সাদ্দাম হোসেন শুভ। তাকেও দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণা শেষে দুই আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মোকলেছুর রহমান এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, স্কুলে যাওয়া আসার পথে ওই শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের প্রলোভন দেয় সাইফুল ইসলাম। ২০১৫ সালের ৫ জুন সাইফুল এবং তার মা কহিনুর ভিকটিমের বাসায় গিয়ে তাকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বাসায় থাকা ৩৭ হাজার টাকা ও ৩৮ হাজার টাকার স্বর্ণও তারা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা ১০ জুন শাহআলী থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে সাইফুলকে অভিযুক্ত করে ওই বছরেরই ৩১ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন শাহ আলী থানার সাব-ইন্সপেক্টর রবিন চন্দ্র মন্ডল। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ৮ জন সাক্ষীর মধ্যে চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

কিশোরী ধর্ষণ মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘটনার চার বছর আগে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে সাদ্দাম হোসেন শুভর সাথে ওই কিশোরীর সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাসায় কেউ না থাকায় ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শুভ ওই কিশোরী তার হাতিরপুল বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর আরও কয়েকদফা তাকে ধর্ষণ করে শুভ। ২৬ মার্চ থেকে তাকে এড়িয়ে চলে। শুভর ভাই সুমন ও বোন মোনিয়া ওই কিশোরীকে ফোনে বিভিন্ন হুমকি দেয়। এরপর ১৯ এপ্রিল শুভ ওই কিশোরীকে ঢাকা ছাড়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরী ১ জুন শাহবাগ থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলাটি তদন্ত করে শুভকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সারাবাংলা/এআই/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন