বিজ্ঞাপন

ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত ৬ 

April 16, 2018 | 7:51 pm

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটি ও কোটা সংস্কার ইস্যু নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সোমবার ( ১৬ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও  সহসভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজনের গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ গ্রুপ মধুর ক্যান্টিন থেকে বের হলে সহসভাপতি সুজনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী তাদের মুখোমুখী হন। এমন সময় কেন্দ্রীয় সংসদের উপ নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক ইমরুল হাসান নিশু  ছাত্রলীগের পদে থেকে যারা কোটা নিয়ে এখনো আন্দোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা জানতে চান। এতে সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরাও ক্ষিপ্ত হন।

বিজ্ঞাপন

এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি আরিফুর রহমান লিমন এসে সুজন গ্রুপকে মারধরের নির্দেশ দেন। পরে সভাপতি সোহাগের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক দিদার মোহাম্মদ নিজামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম এহতেশামের নেতৃত্বে কয়েকশত নেতাকর্মী সুজনের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদেরকে মারধর করে। এ সময় তাদের পোশাক ছিঁড়ে ফেলা হয়। মারধরের  সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে  ছয় জনকে  ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আহতরা হলেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের উপ নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পদক ইমরুল হাসান নিশু, সহসম্পাদক ইমরান জমাদ্দার, ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মাহবুব হোসেন খান, এস এম হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এস এম কামাল উদ্দীন, সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন, এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী সাগর রহমান।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সহসভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন বলেন, দুপুরে সোহাগ ভাই মধুর ক্যান্টিন থেকে বের হওয়ার পর আমরা কয়েকজন মিলে তার সঙ্গে কথা বলছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও কোটা সংস্কার নিয়ে এখনও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীরাও সংবাদ সম্মেলন করছে, অনেকের বিরুদ্ধে শিবির করারও অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানাচ্ছি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছিলাম। এমন সময়  সোহাগ ভাইয়ের সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে কয়েকজনকে মারধর করে।

মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

সারাবাংলা/আরএম/জেডএফ

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন