বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের ওপর চড়াও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা

April 19, 2022 | 2:23 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী। সবশেষ খবর বলছে, অন্তত আট জন সংবাদকর্মীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের দোকানের কর্মচারী আরও অন্তত ১২ জন সংঘর্ষে আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন এই হাসপাতালে।

বিজ্ঞাপন

আহত গণমাধ্যমকর্মীরা জানিয়েছেন, মূলত ব্যবসায়ীদের হামলার শিকার হয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে খবর প্রচার করা হচ্ছে— এমন অভিযোগ তুলেই মূলত তাদের ওপর চড়াও হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের সঙ্গে খাতা ক্যামেরাও যানবাহনও ভাঙচুর করা হয়।

সংঘর্ষের মধ্যে সংবাদ সংগ্রহের সময় আহতের মধ্যে রয়েছেন— দীপ্ত টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার আসিফ সুমিত (৩৫) ও ক্যামেরাপারসন ইমরান লিপু (৩৫), এস এ টিভির রিপোর্টার তুহিন ও ক্যামেরাপারসন কবির হোসেন (৩৮), মাইটিভির রিপোর্টার ড্যানি দ্রং এবং আরটিভির ক্যামেরাপারন সুমন দে আহত। এছাড়া সময় টিভির দু’জন কর্মীও আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

আহত সুমিতের মাথায় চারটি সেলাই দিতে হয়েছে হাসপাতালে। সুমিত সারাবাংলাকে বলেন, আমরা গাউছিয়ার মোড়ে কাজ করছিলাম। লাইভ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এসময় ব্যবসায়ীরা আমার ক্যামেরাপারসনকে মারধর শুরু করে। তাদের ঠেকাতে গেলে তাদের হাতে থাকা লোহার অ্যাংগেল ও লাঠি দিয়ে মারতে মারতে আমাদের নীলক্ষেত মোড়ে নিয়ে যায়।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন। দুপর সাড়ে ১২টা থেকে সোয়া ১টার মধ্যে অন্তত ২০ জনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে সেখান থেকে। তাদের মধ্যে সাংবাদিক ছাড়াও শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুয়েকজন নিউমার্কেটের দোকানের কর্মচারী বলেও জানতে পেরেছি।

বিজ্ঞাপন

বাচ্চু মিয়া জানান, আহত গণমাধ্যমকর্মীদের কারও অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়। তবে দীপ্ত টিভির রিপোর্টার আসিফ সুমিত মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তার মাথায় চারটি সেলাই দিতে হয়েছে।

সোমবার (১৮ রাতে) মধ্যরাত পেরিয়ে সংঘর্ষ থেমে যাওয়ার পর মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ফের নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। চন্দ্রিমা ও নূরজাহান মার্কেটে অগ্নিসংযোগ এবং ককটেল বিস্ফোরণের খবরও পাওয়া গেছে ওই এলাকা থেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় দুপুর নাগাদ গোটা এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসএ/এএম/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন