বিজ্ঞাপন

‘কোন স্ট্র্যাটেজিক কারণে আপনারা নিষ্ক্রিয় ছিলেন?’

April 20, 2022 | 3:39 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নিউ মার্কেট এলাকায় দোকানকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ ছাত্রদের দিনভর সংঘর্ষ বন্ধে পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়’ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২০ এপ্রিল) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন। গুম-খুনের শিকার বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারকে ঈদ উপহার দেওয়ার জন্য এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল নিউ মার্কেট এলাকায় ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের যে সংঘর্ষ হয়েছে এতে একজনের প্রাণ গেছে এবং কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। পুলিশের যে কর্মকর্তারা দায়িত্বে ছিলেন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেছেন যে, স্ট্র্যাটেজিক কারণে আমরা (পুলিশ) নিষ্ক্রিয় ছিলাম।’

‘আমার প্রশ্ন যে, কোন স্ট্র্যাটেজিক কারণে আপনারা নিষ্ক্রিয় ছিলেন? সেই স্ট্যাটেজিক কারণ হচ্ছে- দেশে মানুষ নিহত হবে, একটা সমস্যা তৈরি হবে। সেই সমস্যা নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন, প্রবাহিত করবেন? কোন স্ট্যাটেজিক কারণে বিএনপির ছোট-খাটো কর্মসূচি প্রতিরোধ করার জন্য শত শত হাজার হাজার পুলিশ মুহূর্তের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়? কোন স্ট্র্যাটেজিক কারণে গুলি করে বিএনপির মিছিলগুলো স্তব্ধ করে দেওয়া হয়? কোনো স্ট্র্যাটেজিক কারণে মানুষ হত্যা করে বিরোধী দলের আন্দোলন ব্যাহত করে দেওয়া হয়?’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এই কথা বলার কোনো অপেক্ষা রাখে না যে, এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে, এই ব্যর্থ সরকার এখন রাষ্ট্রকে ব্যর্থ করেছে। এটা একটা ফেল্ড স্টেট। কোথাও তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। আজকে পুলিশকে জবাবদিহি করতে হয় না, অন্যান্য ডিপার্টমেন্টগুলোকে জবাবদিহি করতে হয় না, চুরি করলে, দুর্নীতি করলে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। এই যে এতোগুলো দুর্নীতির খবর পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হলো, আমরা বললাম তারপরও সেগুলোর বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে নাই দুদক।’

তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৫ বছর আগে দুদকের একটা মামলা গতকাল রিভাইব করা হয়েছে, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একটি মামলা একইভাবে রিভাইব করা হয়েছে। এখন পুরোপুরি ডাইভারশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে যখন তাদের দুর্নীতির বিষয়গুলো প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। যেটা কোনো মতেই কোনো মামলা হতে পারে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা আবার শুরু করতে যাচ্ছে। অথচ সরকারের দুর্নীতির কোনো তদন্ত দুদক করছে না। এই দুদকে পুরোপুরিভাবে দলীয়করণের মধ্যে আছে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে, সমগ্র প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে ছন্মবেশী একদলীয় ব্যবস্থা চলছে। এখন তাদের লক্ষ্য আগামী নির্বাচন কী করে আগের মতো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে, আবার তারা ক্ষমতায় আসবে সেটাই তারা করছে। আজকে এটা প্রমাণিত সত্য দেশে গণতন্ত্র নাই, আজকে প্রমাণিত সত্য দেশে অবৈধ সরকার জবরদখল করে ক্ষমতায় বসে আছে, আজকে প্রমাণিত সত্য তারা গুম করে, খুন করে, নির্যাতন করে মানুষকে কারাগারে পাঠিয়ে তাদেরকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা আতিকুল ইসলাম রুম্মন, নিহত ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুর স্ত্রী সুমি আখতার প্রমুখ।

বিএনপি নেতা মীর হেলাল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নাজমুল আহসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আব্দুল বারী ড্যানি, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান ও আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুস সাত্তার, জেড খান রিয়াজ উদ্দিন নসু, শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন