বিজ্ঞাপন

ফাইজারের প্যাক্সলোভিডকে ‘করোনার সেরা ওষুধ’ বলছে স্বাস্থ্য সংস্থা

April 22, 2022 | 9:40 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য মুখে খাওয়ার নতুন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্যাক্সলোভিড বাজারে এনেছে ফাইজার। গবেষণায় দেখা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ঝুঁকি ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম এই ওষুধটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই অ্যান্টিভাইরাস ওষুধটিকে ‘করোনার সেরা ওষুধ’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্যাক্সলোভিডকে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য আহ্বান জানিয়েছে সবার প্রতি। স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নিরমাট্রেলভির ও রিটোনাভিরের সমন্বয়ে তৈরি প্যাক্সলোভিড হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকিতে থাকা মৃদু ও মাঝারি মাত্রার কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এটি এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের জন্য সেরা ওষুধ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে প্যাক্সলোভিড নিয়ে দুই ধাপের ট্রায়াল। ৩ হাজার ১০০ মানুষের ওপর চালানো এই ট্রায়ালে দেখা গেছে, এই ওষুধ সেবনের ফলে কোভিডে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কমেছে প্রায় ৮৫ শতাংশ। ফলে ট্রায়ালের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতি হাজারে ৮৪ জন কম রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।

প্যাক্সলোভিডের ব্যবহারকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উৎসাহিত করলেও নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য এই ওষুধ কতটা সহজলভ্য হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিজেই বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের মতো এই ওষুধটিও নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর পক্ষে পাওয়া কঠিন হতে পারে। এই ওষুধপ্রাপ্তির দিক থেকে এসব দেশ অনেক পেছনে পড়ে যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ফাইজার গত ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিল, ২০২২ সাল নাগাদ প্যাক্সলোভিডের বিক্রি ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আমরা কঠোরভাবে সুপারিশ করছি যে ফাইজার যেন এই ওষুধের দাম ও উৎপাদন চুক্তি নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখে এবং বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের আরও বেশি ওষুধ নির্মাতা এটি উৎপাদন করে এই ওষুধকে দ্রুত সাশ্রয়ে সহজলভ্য করার সুযোগ পায়।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কমতির দিকে। তবে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য এটি এখনো বড় ঝুঁকি হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা এখনো করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন। এছাড়া যারা এখনো করোনা ভ্যাকসিন নেননি, তাদের মধ্যেও মৃত্যুঝুঁকি কম নয়।

এ পরিস্থিতিতে এখনো বিশ্বের বড় বড় ওষুধ কোম্পানিগুলো করোনায় আক্রান্তদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি করে চলেছে। ট্রায়ালে নিরাপদ ও কার্যকর ওষুধগুলোকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও ব্যবহারের সুপারিশ করা হচ্ছে। এর আগে, গত জানুয়ারিতেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে আর্থ্রাইটিসের ওষুধ বারিসিনিটিভের ব্যবহারকে উৎসাহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন