বিজ্ঞাপন

করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা কারিগরি কমিটির, ৬ দফা সুপারিশ

April 25, 2022 | 5:06 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বাড়ছে। এমন অবস্থায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা ভাইরাসের এই ঊর্ধ্বমুখীকে উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে সরকারের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। একইসঙ্গে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে ৬ দফা সুপারিশ করেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৫ এপ্রিল) কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সুপারিশের বিষয়ে জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৭তম সভা গত ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। সভাপতি জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির নতুন সদস্যদের স্বাগত জানান এবং বিদায়ী সদস্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন।

সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণ এবং দেশে সংক্রমণের হার ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয় বিষয়ে কারিগরি পরামর্শক কমিটির মতামত জানতে চেয়েছে বলে জানানো হয়। এ বিষয়ে সভায় কমিটির সব সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে ছয়টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

বিজ্ঞাপন

সুপারিশগুলো হলো—

১. বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও পার্শ্ববর্তী দেশসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, যা উদ্বেগজনক। জাতীয় কারিগরি কমিটির আশঙ্কা, এখন থেকেই সতর্ক না হলে দেশেও সংক্রমণ বাড়তে পারে।

তাই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের সুপারিশ করেছে কারিগরি কমিটি। একইসঙ্গে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

২. যেসব দেশে সংক্রমণের হার বেশি, সেই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আগমনের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিশ্চিত করা এবং সব বন্দরে জনগণের প্রবেশ পথে স্ক্রিনিং জোরদারকরণের পরামর্শ দেওয়া হয়।

৩. আসন্ন ঈদুল ফিতরে বাজার, কেনাকাটা এবং ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতের সময় মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া তারাবির নামাজ ও ঈদ জামাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

৪. কোভিড-১৯ মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালগুলোর সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফদরকে সভা আয়োজন করে এ বিষয়ক প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

৫. কোভিড নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজন করে সবাইকে করোনা নিয়ন্ত্রণে সতর্কাবস্থানে থাকার সুপারিশ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

৬. সভায় জিনোম সিকোয়েন্সিং ও সার্ভেলিয়েন্স জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন