বিজ্ঞাপন

শিমুলিয়া ঘাটে অব্যবস্থাপনা: দীর্ঘ গাড়ির লাইন, বাড়ছে ভোগান্তি

April 29, 2022 | 5:41 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

মুন্সীগঞ্জ: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ ও দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ঘাটে দীর্ঘ গাড়ির লাইন দেখা দিয়েছে। আটকা পড়েছে পাঁচ শতাধিক গাড়ি। ঘাটে ফেরি থাকলেও আনলোড করা যাচ্ছে না সহজে।

বিজ্ঞাপন

সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বাড়ে কয়েকগুণ। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ভোর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটেও পদ্মা পাড়ি দিতে ঘাটে আসছে হাজার হাজার মানুষ। বাড়তি যানবাহনের চাপে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরি কম থাকায় বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারপারে বেশি সময় লাগছে। এতে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড থেকে পন্টুনের অভিমুখ পর্যন্ত যানবাহনের সারি। স্পিডবোট ও লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপ গতকালকের তুলনায় চার গুণ।

বাস-ট্রাক এই রুটে বন্ধ থাকার পরও প্রাইভেট কার, মোটরবাইক, ছোট যানবাহনের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাটে নিয়োজিত কর্মচারীদের। শতশত মোটরসাইকেলের কারণে অন্য ছোট যানবাহনের স্থান সংকুলান ফেরিতে ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া লঞ্চ ও স্পিডবোটেও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। একটি ফেরি ঘাটে ফিরলেই ঘরমুখো শত শত মানুষ ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।

বিজ্ঞাপন

শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ আরও বেড়েছে

 

 

এদিকে তীব্র গরমে ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়া মানুষদের। এই নৌপথে ফেরিতে ভারি যানবাহন পারাপার নিষিদ্ধ থাকায় হালকা যানবাহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গের ২১ জেলার মানুষ যাত্রা শুরু করেছেন।

বিজ্ঞাপন

পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাত্রীদের ভোগান্তি এড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে পারাপারের জন্য। প্রচুর সংখ্যক যানবাহন ও যাত্রীরা আসছেন।’

বিআইডাব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, এই রুটে আরও পাঁচটি লঞ্চ ও তিনটি স্পিডবোট বেড়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাজিকান্দি দুই রুটে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫টি স্পিডবোট সচল রয়েছে।

বিআইডাব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) আশিকুজ্জামান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার পাঁচ হাজার গাড়ি পারাপার করেছি। ১০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আমরা তো একসঙ্গে সবাইকে পার করতে পারবো না।’ ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন