বিজ্ঞাপন

‘দেবী’ বিতর্ক ও নুহাশের চাওয়া

April 17, 2018 | 6:25 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলী সিরিজের প্রথম উপন্যাস ‘দেবী’। এই উপন্যাস থেকেই নিজের প্রথম সিনেমা নির্মাণ করছেন অনম বিশ্বাস। সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ আপাতত শেষ, মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্রটির টিজারও। সবকিছু ঠিক থাকলে এই বছরেই ছবিটি দেখবে বাংলা সিনেমার দর্শকেরা। তবে আশার খবর হলো কদিন আগেই ছবিটি নিয়ে হয়ে যাওয়া এক পশলা বিতর্কের বৃষ্টি অবশেষে শেষ হয়েছে।

‘দেবী’ সিনেমার জন্য হুমায়ূন আহমেদের গল্প ব্যবহারের অনুমতি কার কাছ থেকে নিয়েছেন পরিচালক, এমন প্রশ্ন তুলেছিলেন লেখকের মেজো মেয়ে শীলা আহমেদ। এরপরই ছবিটির সহপ্রযোজক ও নায়িকা জয়া আহসান দেখা করেন তাদের সঙ্গে, আলোচনা শেষে নিয়ে নেন নির্মাণের অনুমতিও। আর এটিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক স্ট্যাটাসে নিশ্চিত করেছেন লেখকের বড় পুত্র নুহাশ হুমায়ূন।

নুহাশ হুমায়ূন দেবী প্রসঙ্গে তার ভেরিফাইড ফেসবুকে পেজে মঙ্গলবার লিখেছেন, ‘জয়া আহসান আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং আমাদেরকে তার দিকের ব্যাখ্যা দিলেন, তখন আমাদের মনে হয়েছে -এটা তার দিক থেকে একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। আর তিনি যে এটা সংশোধন করতে চাচ্ছেন এটা একটা দায়িত্বশীল আচরণের বহিঃপ্রকাশ।’

বিজ্ঞাপন

নুহাশ আরো লিখেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের সমস্ত সৃষ্টি এখন তার উত্তরাধিকারদের স্বত্বাধিকারে। আমাদের চার ভাইবোনের অনুমতি ছাড়া যে এই সিনেমাটি মুক্তি দেয়ার কাজ চলছিলো, সেটা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত ছিল। যখন এই সিনেমার প্রযোজক জয়া আহসান এই বিষয়ে জানলেন, তিনি সাথে সাথেই আমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলেন এবং আমাদের চারজনের অনুমতি নেয়ার জন্য আইনগত সব ব্যবস্থা নিলেন। তিনি এই সিনেমার মার্কেটিং সহ বাকি কাজ বন্ধ রাখলেন আমাদের চার ভাইবোনের চুক্তিপত্রে সাইন হওয়া পর্যন্ত।’

জয়ার আচরণে সন্তুষ্ট হলেও অন্য অনেক নির্মাতার আচরণে যে গুলতেকিন পরিবার মোটেই সন্তুষ্ট নয় তাও প্রকাশ পেয়েছে নুহাশের লেখায়। ‘হোটেল অ্যালবাট্রস’ খ্যাত এই নির্মাতা লিখেন, “অনেক নির্মাতাই আমাদেরকে জানিয়েছেন তারা আমার বাবার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে এককালীন কিছু টাকা দিয়ে অনুমতি নিয়েছেন এবং নাটক নির্মাণ করেছেন। শাওন আমার বাবার ‘ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টির’ (গল্প, উপন্যাস, তার সৃষ্ট যেকোনো কিছু ) একমাত্র উত্তরাধিকার না। তাই আমাদের চার ভাইবোনের অনুমতি ছাড়া, শুধু মাত্র শাওনের অনুমতি নিয়ে, হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি নিয়ে কাজ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।”

বিজ্ঞাপন

নুহাশ হুমায়ূন নির্মাতাদের প্রসঙ্গ টেনে আরও বলেন, “কিছু নির্মাতার অজুহাত হল, ‘আপনাদের কে পাওয়া কঠিন’– আসলেই কি তাই? সিনেমা নির্মাণ করা একটা কঠিন কাজ হতে পারে, কিন্তু ঢাকা শহরে কোন মানুষের সাথে যোগাযোগের উপায় বের করা বেশ সহজ। আমার ফেইসবুক পেইজটা পর্যন্ত ভ্যারিফাইড, তাহলে আর কত সহজ উপায়ে আমার বা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চান?”

নিজেদের প্রিয়জন ও অভিভাবক প্রসঙ্গেও নুহাশ স্পষ্ট করে দেন নিজের লেখায়। তিনি লিখেন, “আরেকটা সাধারণ ভুল ধারনা হল- আমাদের চাচা মুহাম্মদ জাফর ইকবালের অনুমতি নেয়া আর আমাদের চার ভাইবোনের অনুমতি নেয়া একই কথা। আমার মনে হয় এটা খুব স্পষ্ট করা দরকার- মুহাম্মদ জাফর ইকবাল আমাদের চাচা এবং আমাদের প্রিয়জন, কিন্তু তিনি আমাদের কোন মুখপাত্র অথবা অভিভাবক না এবং হুমায়ূন আহমেদের ‘ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টির রাইট’ নিয়ে আমাদের চার ভাইবোনের হয়ে তিনি কিছু বলার অধিকার রাখেন না।”

সারাবাংলা/টিএস

বিজ্ঞাপন

A few words on the film Debi:I’m sure a lot of us are excited about the film Debi. There’s undoubtedly great talent…

Posted by Nuhash Humayun on Tuesday, 17 April 2018

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন