বিজ্ঞাপন

‘ছান্দে’র আধিপত্য ঘিরে সংঘর্ষ: গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষশূন্য গ্রাম

May 6, 2022 | 7:21 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে ‘ছান্দ সরদারে’র আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সঙ্গে চান্দ সর্দারের অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার আতঙ্কে গোটা গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা না হলেও ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ের করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বানিয়াচং সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। এরপর থেকেই ওই এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পর্যন্ত আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

পলাশ রঞ্জন দে আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে পুলিশ এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। জড়িত অন্যদেরও আটক করতে পুলিশ সচেষ্ট। মামলা হলে মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন- ‘ছান্দে’র আধিপত্য নিয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৫০

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা বলছেন, বানিয়াচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈদরটুলা মহল্লার বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হায়দারুজ্জামান ধন মিয়ার সঙ্গে একই মহল্লার নজরুল ইসলাম খান সর্দারের মধ্যে ‘ছান্দ সরদারে’র আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরেই বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

প্রায় দুই ঘণ্টার সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগও পাওয়া গেছে। পরে খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষের সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান ধন মিয়াকে প্রকাশ্যে নিজের অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুঁড়তে দেখা গেছে। সেই সময়কার একটি ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, এক বা একাধিক গ্রাম বা মহল্লা নিয়ে গঠিত এলাকাকে বলা হয় ‘ছান্দ’। এরকম ছান্দের অধীনে প্রতিটি গ্রামে এক জন করে ‘মহল্লা সরদার’ থাকে, এর সঙ্গে প্রতিটি ‘ছান্দে’র দায়িত্বে থাকেন এক জন করে ‘ছান্দ সরদার’। এই সরদাররাই মূলত স্থানীয়দের ঝগড়া-বিবাদ-সমস্যার মীমাংসা করেন, যারা এমনকি পুলিশ-প্রশাসনেরও কোনো তোয়াক্কা করে না। এ কারণে স্থানীয়ভাবে এসব ‘ছান্দ সরদার’রা অত্যন্ত প্রভাবশালী। ফলে ‘ছান্দ সরদার’ হওয়ার জন্য আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা থাকে অনেকের মধ্যেই।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন