বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ডিসেম্বরে

May 8, 2022 | 12:09 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে দলের সকল মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৭ মে) রাতে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলপকালে এসব কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘মূলত পরবর্তী জাতীয় সম্মেলন ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে সারা বাংলাদেশে। আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ প্রোগ্রাম জোরদার করতে হবে। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।‌ আজ সভায় নারায়ণগঞ্জ এবং নীলফামারীর বিষয় এসেছে। সেখানকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে শোকজ নোটিশ পাঠাতে হবে। আবার কাউকে কাউকে অব্যাহতি দিয়ে শোকজ করতে বলা হয়েছে। এটা নীলফামারী-ডোমারের জন্য।’

তিনি বলেন, ‘যারা বিদ্রোহী, কিন্তু দলের পদে আছে সেই সব জায়গায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করে মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলনের কাজ শেষ করতে হবে। ‌মেয়াদোত্তীর্ণ সকল শাখা বিশেষ করে উপজেলা এবং জেলা সম্মেলনগুলোর কাজ শেষ করতে হবে। আমাদের ইতোমধ্যে চল্লিশটা উপজেলায় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে এবং সাতটির মত জেলা সম্মেলনের প্রস্তুতি ১২ তারিখ থেকে নিচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

বিভাগীয় সম্পাদক, বিভাগীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যারা আছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কর্মকাণ্ড শুনেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শুনে খুব খুশি হয়েছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন এবং জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে সুশৃঙ্খল-সুসংগঠিত পার্টি হিসেবে আওয়ামী লীগকে দাঁড় করাতে হবে। পরবর্তী নির্বাচনে বিজয়ের জন্য। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। ‌ নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। বিরোধীদলও যারা যারা নির্বাচন করবে, তাদেরকে স্বাগতম। ‌ নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে।

আওয়ামী লীগের সম্মেলন কবে নাগাদ হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আশা করছি, সম্মেলন ডিসেম্বরে হবে। নেত্রী যখন ডেট ফিক্সড করবেন, সেভাবেই হবে। তিনি এখন থেকেই গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র আপডেট করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’

সহযোগী সংগঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা আছেন তারা প্রত্যেক বিভাগের সহযোগী সংগঠনগুলো যাদের দায়িত্ব রয়েছে তাদের মাধ্যমে খোঁজখবর রাখবেন এবং ‌সমন্বয় করবেন- এ বিষয়টা বলা হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এত কিছু বুঝি না, সহযোগী সংগঠন হোক আর আমাদের মূল পার্টি হোক, মেয়াদোত্তীর্ণ সব সংগঠনের সম্মেলন জাতীয় সম্মেলনের আগে হতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘নীলফামারী ডোমার উপজেলার সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং তাকে শোকজ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিভক্তি নিয়ে কখনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত দল। শৃঙ্খলার যেখানে যেখানে ঘাটতি আছে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেটা তারা করতে অসমর্থ হবেন সেটা নেত্রী পর্যায়ে আসবে।’

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৫টার পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন