বিজ্ঞাপন

গ্রীষ্মের প্রাণ চবি ক্যাম্পাসে

May 8, 2022 | 9:08 am

চলন্ত চাকমা, চবি করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: পাহাড় ঘেরা ও সবুজের সমারোহে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। ঋতুর পালাবদলে ২ হাজার ১০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই ক্যাম্পাসের প্রকৃতিও হাজির হয় তার নতুন রূপ নিয়ে।

বিজ্ঞাপন

গ্রীষ্মের তাপদাহে জনজীবন যখন ওষ্ঠাগত সেই সময় নানা ফুলের সমারোহে সেজেছে এই ক্যাম্পাস। গ্রীষ্মের ফোটা রঙিন ফুল জানান দিচ্ছে যৌবনের দোলা। ক্যাম্পাসের প্রকৃতির এই সজীবতা আর কদমফুলের সুবাস নিয়ে আবির্ভাব ঘটে ‘নবযৌবনা’ বর্ষার। এই বর্ষাতেই কবিরা তাদের কবিতায় প্রকাশ করেন প্রেমের ব্যাকুলতা। আবার কখনো ঘন কুয়াশা ভেদ করে মিষ্টি আলোয় সকাল নামে ক্যাম্পাসে।

ঘুম ভাঙে শাটলের হুইসেলে। ক্যাম্পাসের এই প্রকৃতি ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকে অনিন্দ্য সুন্দর রূপে। আবার কখনো শরৎ ক্যাম্পাসের প্রকৃতিকে মোহনীয় রূপে সাজায় তাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হৃদয়কে কমল করে তোলে। নীল আকাশের সাদা তুলোর মতো মেঘের সঙ্গে প্রকৃতিতে শুভ্রতা ছড়ায় কাঁশফুল।

এখন চলছে গ্রীষ্ম। গ্রীষ্মের অগ্নিখরা তাপদাহে প্রকৃতি যখন দগ্ধ, নিরুদ্ধ-নিশ্বাস অস্থির হাহাকার হয়ে ওঠে। সেই সময় আরেকটি চিরচেনা রূপের দেখা মিলেছে ক্যাম্পাসে। কৃঞ্চচূড়া, সোনালুসহ বাহারি ফুলের মেলা বসেছে চবিতে। ফুলের এই সৌন্দর্য ক্যাম্পাস এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। নিত্য নতুন বাহারি ফুলের সাজে নতুনকে বরণ করে নিয়েছে চবি।

বিজ্ঞাপন
ছবি: সারাবাংলা

ছবি: সারাবাংলা

এই বিদ্যাপিঠের প্রবেশ পথেই রেল স্টেশনে ডালপালা মেলে দেখা মিলবে গ্রীষ্মের লাল রঙে ফোটা কৃষ্ণচূড়ার। যা দেখে মনে হয় স্বাগত জানাচ্ছে সবাইকে। এছাড়াও আইইআর,আইন অনুষদ প্রাঙ্গন,শহীদ আব্দুর রব হল, শাহ জালাল হল,সমাজবিজ্ঞান অনুষদসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেয়ে গেছে। দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য সবাইকে মোহিত করছে।

অন্যদিকে ক্যাম্পাসে গ্রীষ্মের তাবদাহে প্রাণের সজীবতা নিয়ে যেসব ফুল ফোটে তার মধ্যে সোনালু উল্লেখযোগ্য। হলুদ রঙে হিমু সাজার প্রতিযোগিতারও কমতি নেই। ক্যাম্পাসের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সক্রেটিস চত্ত্বর এবং কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ প্রাঙ্গণে সোনালু ফুলের দেখা মেলে।

ছবি: সারাবাংলা

ছবি: সারাবাংলা

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের তুষার ইব্রাহীম সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সবসময় এক অপরূপ সৌন্দর্যের আধার। সেই সৌন্দর্যের পরিপূর্ণতা পায় তখনই, যখন ক্যাম্পাসে চারদিকে নানারকম ফুলের সুবাস পাওয়া যায়।’

বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে বেশী ভাল লাগে কৃষ্ণচূড়া ফুলে যখন চারিদিকে একদম রক্তিম হয়ে থাকে। আর সোনালু ফুলের মায়াবী আভা মুগ্ধতা ছড়ায় পুরো ক্যাম্পাসে। আরও অনেক ফুলের সুবাস সারা ক্যাম্পাসে এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি করে। এখানে গ্রীষ্ম মানে দখিনা বাতাসে শতশত ফুলের সুবাসে এক অপরূপ ক্যাম্পাস।

দর্শন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তনুশ্রী সাহা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে গ্রীষ্মকালীন ফুল ফুটেছে। এতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচণ্ড এই গরমে উচ্চ তাপমাত্রায় বিরক্ত হয়ে হাঁটতে থাকলেও মন ভালো করে দেয় ফুলগুলো। ঝাঁকে ঝাঁকে দেখা যায় সোনালু,কৃষ্ণচূড়াসহ বাহারি ফুল। বেশ রঙিন লাগে ক্যাম্পাস। ফুলগুলো দেখলেই মনে হয় আমার ক্যাম্পাস যেন মনের সুখে সেজেছে, আজ ক্যাম্পাসের মন ভালো।’

সারাবাংলা/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন