বিজ্ঞাপন

গোপন কুঠুরিতে হাজার লিটার সয়াবিন তেল

May 8, 2022 | 5:49 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় পৃথক অভিযানে বিক্রি না করে মজুদ করে রাখা সাড়ে তিন হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে প্রশাসন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নগরীর কর্ণফুলী বাজারে একটি দোকানে গোপন কুঠুরি বানিয়ে এক হাজার লিটারের বেশি তেল মজুদ করে রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে ফটিকছড়ি উপজেলায় এক মুদি দোকানির বাড়িতে মিলেছে প্রায় আড়াই হাজার লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৮ মে) দুপুরে নগরীর ষোলশহরে কর্ণফুলী মার্কেটের ‘মেসার্স খাজা স্টোরে’ অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। শনিবার রাতে ফটিকছড়ির বাগানবাজার এলাকার দক্ষিণ গজারিয়া গ্রামে মুদি দোকানি আকতার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে ভোজ্যতেলের একটা ক্রাইসিস আছে। আমরা সংকটের কারণ অনুসন্ধানে বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ও কর্ণফুলী মার্কেটে অভিযান চালাই। কর্ণফুলী মার্কেটে খাজা স্টোরে অভিযানে দেখতে পাই, সামনে কয়েকটি সয়াবিনের বোতল রাখা হয়েছে, খুবই অল্প পরিমাণে।’

বিজ্ঞাপন

‘কিন্তু এর নিচে পাটাতন দিয়ে আড়াল করে গোপন কুঠুরি বানিয়ে রাখা হয়েছে আরও তেলের বোতল। ফ্রেশ, রূপাচাঁদা, পুষ্টিসহ বিভিন্ন কোম্পানির সয়াবিন তেলের বোতল আমরা সেখানে পাই। এক হাজার ৫০ লিটার তেল আমরা সেখান থেকে জব্দ করেছি। এসব তেলের উৎপাদনের তারিখ গত এপ্রিলের। মজুদ রেখে পরে বাড়তি দামে বিক্রির জন্য সেগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। মালিক প্রথমে নিজেকে কয়েকটি কোম্পানির ডিলার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। কিন্তু পরে জানতে পারি এটি সত্য নয়।’

ফয়েজউল্লাহ আরও জানান, অবৈধভাবে তেল মজুদের অপরাধে খাজা স্টোরের মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা সয়াবিন তেলগুলো ভাউচার দেখে আগের দামে খুচরা দোকানে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে শনিবার রাতে ফটিকছড়ির হোঁয়াকো বাজারের মুদি দোকানি আকতার হোসেনের বাগানবাজারের বাড়িতে অভিযান চালান ফটিকছড়ির সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর। তার বাড়ি থেকে ২ হাজার ৩২৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এস এম আলগমীর বলেন, ‘বাজারে সংকটের মধ্যে আকতার হোসেন তেলগুলো বাড়িতে নিয়ে মজুদ করেছিল। অনেকটা গোপন একটি কক্ষে এমনভাবে রাখা হয়েছিল, যাতে কিছুই বোঝা না যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সেগুলো উদ্ধার করি। সবগুলো তেল ফ্রেশ ব্র্যান্ডের। এসব তেল মজুদ করা হয়েছে সম্প্রতি সরকারিভাবে নতুন দর নির্ধারণের আগে। তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তেলগুলো আকতারের আগের দামে বিক্রির জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন