May 12, 2022 | 7:07 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: পল্লবীতে ৬ বছরের ছেলের সামনে বাবা সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা মামলাটি ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়। সাহিনুদ্দিনের মায়ের দাবি— ওই মামলা থেকে অন্তত চারজন আসামিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আদালতে এ বিষয়টি জানিয়ে তিনি নারাজি দেন।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নূরুল হুদা চৌধুরীর আদালত সাহিনুদ্দিনের মায়ের নারাজির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
পল্লবী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আ. রব এ তথ্য জানান।
আগামী ১৯ জুন পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
এদিন মামলার বাদী সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা ডিবি পুলিশের দেওয়া চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার সঙ্গে আ. রাজ্জাক, শফিক, কামরুল ও লিটন জড়িত থাকলেও ডিবি পুলিশ তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছে। আর সুমন জড়িত থাকলেও ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। এ জন্য মামলাটি ফের তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি হলেন সুমন বেপারী, মোহাম্মদ তাহের, মো. গোলাম কিবরিয়া খান, মোহাম্মদ মুরাদ, টিটু শেখ ওরফে টিটু, মোহাম্মদ রকি তালুকদার, নূর মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ শরীফ, ইকবাল হোসেন, মো. তরিকুল ইসলাম ইমন, তুহিন মিয়া, মো. হারুনুর রশিদ, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক ও ইব্রাহিম সুমন।
হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পাওয়ায় ১৩ জনকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ ছাড়া আরও দুইজন অভিযুক্ত মনির ও মানিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৬ মে পল্লবীতে ৬ বছরের ছেলে মাশরাফির সামনে বাবা সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এআই/একে