May 16, 2022 | 10:00 am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নিউইয়র্কের বাফেলোতে বন্দুকধারীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। ঘটনাটিকে বর্ণবাদপ্রসূত উগ্রবাদী হামলা হিসেবে দেখছে পুলিশ৷ বাফেলো সিটির মেয়র বলছেন, যত বেশিসম্ভব কৃষ্ণাঙ্গ হত্যাই ছিল হামলাকারীর লক্ষ্য।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম পেটন জেন্ডর। শ্বেতাঙ্গ এই তরুণের বয়স ১৮ বছর। কেবল এই হামলার জন্যই ৩২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিনি বাফেলো শহরে হাজির হয়েছিলেন।
বাফেলো মেয়র বায়রন ব্রাউন বলেন, সন্দেহভাজন ওই তরুণের লক্ষ্যই ছিল কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা। যত বেশিসম্ভব কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন তিনি।
জেন্ডরের এই কৃষ্ণাঙ্গবিদ্বেষ নতুন নয়৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপি’কে বলেছেন, গত বছরের জুনেও জেন্ডর একটি হাই স্কুলে হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে ফ্যাসিস্ট ও শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী হিসেবেও পরিচয় দিয়েছেন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে জেন্ডরকে মানসিক পরীক্ষা করানো হয়৷ ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে থাকা একজন ব্যক্তি কীভাবে এই হামলা চালাতে সক্ষম হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি৷ উল্টো পুলিশ এখন বলছে, জেন্ডর হামলার আগের দিন ঘটনাস্থল রেকিও করেছে!
এদিকে, নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল নিজেই বলেছেন, সবাই কী জানত এবং তারা কখন সেগুলো জানতে পেরেছিল, আমি সেসব তথ্য জানতে চাই। আর নিউইয়র্কের এটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস জানিয়েছেন, তারা অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া উগ্রবাদী কনটেন্টে মনোযোগ দেবেন।
স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরের ওই হামলায় ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন৷ এই ১৩ জনের মধ্যে ১১ জনই কৃষ্ণাঙ্গ। পরে হামলাকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১০
সারাবাংলা/টিআর