বিজ্ঞাপন

আইপি ছাড়াই দর্শনা দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজ আটকে দিলো কাস্টমস

May 24, 2022 | 10:42 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

চুয়াডাঙ্গা: সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা রেলস্টেশন দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে আমদানি করা পেঁয়াজের চালান আটকে দিয়েছে কাস্টমস। আমদানির অনুমতি (আইপি) বন্ধ থাকলেও হাইকোর্টের একটি আদেশের মাধ্যমে ওই পেঁয়াজের চালান দেশে ঢুকেছিল। তবে ঘোষণার চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি পেঁয়াজ আনায় বিভাগীয় মামলা করে চালানটি কাস্টমস আটকে দেয়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২৫ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার অঙ্গীকার করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, সোমবার (২৩ মে) রাত ৯টা ১০ মিনিটে ভারতের গেদে রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা পেঁয়াজ বোঝাই মালবাহী ট্রেনটি হাইকোর্টের একটি আদেশের বলে দেশে ঢোকার অনুমতি পায়। ঢাকা খামার বাড়ির উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধের মহাপরিচালক রনজিৎ কুমার পাল হাইকোর্টের ওই আদেশ সম্বলিত চিঠি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কার্যালয় বরাবর পাঠায়।

ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেই। কিন্তু পেঁয়াজ একটি পচনশীল দ্রব্য। সেক্ষেত্রে মানবিক বিবেচনায় চালানটি ছাড় করার ব্যাপারে সহযোগিতা করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন- দর্শনা রেলস্টেশন দিয়ে অবৈধভাবে পেঁয়াজ আমদানির অভিযোগ

বিজ্ঞাপন

এই চিঠির কারণেই দর্শনা উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ ছাড়ের অনুমতি দেয়। এরপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে, ১ হাজার ৮৬ দশমিক ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা ছিল সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের। কিন্তু তারা এর চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি পণ্য দেশে এনেছে।

ওই রাতেই যশোর কাস্টমস এক্সাসাইজ ভ্যাট বিভাগের যুগ্ম-কমিশনার নাহিদ নওশাদ মুকুলের নেতৃত্বে একটি দল দর্শনায় পৌঁছে পেঁয়াজ ভর্তি মালবাহী ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধ পেঁয়াজের অস্তিত্ব পায়। তারপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই পেঁয়াজ হস্তান্তর রোধ করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেয়।

বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২৫ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার অঙ্গীকার করে মামলাটি নিষ্পত্তি করে। এই টাকা জমা দেওয়ার পর দর্শনা থেকে পেঁয়াজের চালানটি ছাড় করতে পারবে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস যুগ্ম-কমিশনার নাহিদ নওশাদ মুকুল।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, একটি সূত্র জানিয়েছে, মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাসুদ আলম আমদানি করা পণ্য নিজে বিক্রি না করে গেট পাস বিক্রি করেন, যা আমদানি নীতি বহির্ভূত। তবে পেঁয়াজের চালানটি ছাড় করতে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তটি হাইকোর্টে ভুলভাবে উপস্থাপন করেন।

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ফিজা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রায়হান বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোয়ালপাড়ার ইমরান মার্কেটের মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাসুদ আলম ভারত থেকে ৪০ ওয়াগন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলেন। কিন্তু তাতে পেঁয়াজের পরিমাণ বেশি না কম আছে, সে বিষয় আমাদের জানা থাকে না। আমাদের এ বিষয়ে কিছু করণীয় নেই।

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান বলেন, ঢাকা থেকে দাফতরিক যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই পেঁয়াজ ছাড়ের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন