বিজ্ঞাপন

‘মাংকিপক্স নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই’

May 28, 2022 | 4:07 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মাংকিপক্স নিয়ে এখনও আমাদের দেশের মানুষের আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। তবে এর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি ও সচেতনতার পরামর্শ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৮মে) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তারা মাঙ্কিপক্স এর বিভিন্ন দিক আলোচনা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরি, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, ঢামেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালকদার, বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক নার্সসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা বলেন, ‘আমাদের এখনই প্যানিকড (আতঙ্কিত) হওয়ার দরকার নেই। বহির্বিশ্বের কিছু দেশের মানুষের শরীরে এটি শনাক্ত হলেও আমাদের দেশে এটি এখনও আসেনি। তবে আমাদের মন্ত্রণালায়সহ স্বাস্থ্য সেক্টরগুলো প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের আইইডিসিআরও প্রস্তুত রয়েছে। সেখানেও পিসিআর টেস্ট করা যাবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আর টেস্টের মাধ্যমে কারোর শরীরে এটি শনাক্ত হলে চিকিৎসার পাশাপাশি ৫ থেকে ২১দিনে কোয়ারাইন্টাই বা আইসোলেশনে থাকতে হবে। মাংকিপক্সের জন্য আমাদের আলাদা করে এখনও কোনো গাইড লাইন দেওয়া হয়নি। তবে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন আছে, আমরা তা ফলো করতে পারি।’

ডা. টিটো মিঞা বলেন, ‘আমরা যারা ছোটবেলাতে স্মল পক্সের টিকা নিয়েছি তারা খুশি হওয়ার কারণ নেই। নতুন এই ভাইরাসে আমরাও আক্রান্ত হতে পারি। গর্ভবতী নারী, ছোট শিশু ও অসুস্থ্য ব্যক্তিদেরকে আরও সতর্কভাবে রাখতে হবে।’

অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, ‘মাংকিপক্স নিয়ে আমাদের দেশে আজকে এটি ৩য় সেমিনার। আমরা এখনও জানি না এটি আমাদের দেশে আসলে কতটা ভয়াবহতা নিয়ে আসবে। তবে আমরা কোভিড ১৯, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু মোকাবিলা করেছি। তবে তা থেকে আমরা ওভারকাম করেছি। মাংকিপক্স যে ফর্মেই বা যে ভেরিয়েশনেই আসুক আমরা তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।’

বিজ্ঞাপন

হাসপাতলটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘আজকে এই সভার উদ্দেশ্য সচেতনতা তৈরি করা। হাসপাতালের আউট ডোর, মেডিসিন বা অন্য কোনো বিভাগে এমন লক্ষণ নিয়ে কোনো রোগী এলে আমরা যেন সচেতন থাকি। সঙ্গে সঙ্গেই যেন সেটি শনাক্ত করতে পারি। হজের পর হাজীরা দেশে ফিরলে তাদেরকেও টেস্ট করাতে হবে। আবার আসন্ন ঈদেও বর্ডার দিয়ে বিভিন্ন গবাদি পশু আমাদের দেশে আসবে। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনো পশুর মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে না পড়ে।’

মাংকিপক্স মোকাবিলায় ঘনঘন হাত ধোয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন বক্তারা।

সারাবাংলা/এসএসআর/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন