বিজ্ঞাপন

সাধারণ মানুষকে গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট করুন

June 1, 2022 | 2:15 pm

জিমি আমির

আসছে ২০২২-২৩ বছরের বাজেট উত্থাপিত হওয়ার কথা ৯ জুন। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রতিবছর জুনের প্রথম বৃহস্পতিবার বাজেট উত্থাপন করতেন। পরের অর্থমন্ত্রী অবশ্য কিছুটা ব্যতিক্রম। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বাজেটের আগে আলোচনার রেওয়াজ শুরু করেছিলেন মুহিত। এবার শুনলাম মাত্র দুইটি গ্রুপের সঙ্গে বসেছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। যদিও এসব আলোচনায় যা উঠে আসে, তার খুব কম বিষয়ই জায়গা পায় মূল বাজেটে!

বিজ্ঞাপন

দীর্ঘদিন বাজেট নিয়ে রিপোর্ট করেছি। প্রতিবার এই সময়ে বাজেট নিয়ে রিপোর্ট বা আলোচনাগুলো পড়ার চেষ্টা করি। এবারও দেশের অর্থনীতিবিদরা বিভিন্ন আলোচনায় বলছেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া, রিজার্ভ কমে যাওয়া, কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়ানো, সম্পদের সুষম বণ্টন আগামী বাজেটের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমার মনে পড়ে না, এই বিষয়গুলো কোনো সময়ে চ্যালেঞ্জের বাইরে ছিল?

বাজেট হতে হবে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সুনির্দিষ্ট বাস্তবায়নযোগ্য কাঠামোনির্ভর। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতার ওপর জোর দিতে হবে। আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের অভাব, অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ পাচার— এসব বিষয়ে সুষ্ঠু নজরদারি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও সংস্কার আনার বিকল্প নেই। এগুলো অবশ্য পাঠ্যবইয়ে থাকা সুন্দর কথার মতো— যেগুলো পরীক্ষা পাসের জন্যই আমরা কেবল মুখস্ত করি ও খাতায় উগড়ে দিয়ে আসি, কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন নিয়ে বিন্দুমাত্রও ভাবি না। বাজেটের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর এসব চলমান সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও দিন শেষে তা হয়ে যায় ‘কে শোনে কার কথা’র মতো অবস্থা!

অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ ধারণার জনক গ্যারি বেকারের মতে— অর্থনীতি শুধু সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের সূত্রমালা নয়। বরং অর্থনীতি একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে মানুষের আচরণ বিশ্লেষণ করা যায়। এ ধরনের বিশ্লেষণের জন্য জানতে হবে মানুষ কী চায়। (সূত্র: আজব ও জবর-আজব অর্থনীতি, আকবর আলী খান)

বিজ্ঞাপন

আমার মনে হয় শুধু এ দেশেই সাধারণ মানুষের চাওয়াকে যতভাবে উপেক্ষা করা সম্ভব, তার সবই করে থাকে সরকারগুলো। যদিও অর্থনীতিবিদরা মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ধৈর্য নিয়েও বারবার একই কথা বলতে থাকেন।

‘টাকায় করে কাম, হয় মরদের নাম’— গ্রামীণ প্রচলিত এই কথাটি আজীবনের জন্য সত্য। মানে টাকা থাকলে কারও জন্যই কোনো কাজ তেমন অসাধ্য না (বিষয়টি যদিও আজকাল কেবল মরদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই!)। তবে টাকা থাকলেও যে কাজ হবেই, তার কিন্তু নিশ্চয়তা নেই। তখন টাকার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার সুবিবেচনাবোধটা খুব জরুরি। জাতীয় বাজেট ব্যবস্থাপনা কেউ কেউ সংসারের সঙ্গে তুলনা করলেও দুইয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। সংসারে আয় দেখে খরচ করা হয়। আর দেশের বাজেটে খরচের তালিকা দেখে আয়ের রাস্তা খোঁজা হয়। তবে দুই জায়গাতেই আয় পরিকল্পনায় নীতি-নৈতিকতার প্রাধান্য থাকে বটে! সেই অর্থে বাজেটকে নীতি নির্ধারণের সর্বোচ্চ দলিলও বলা হয়ে থাকে। চলুন, এবার সেই দলিলের দৃশ্যমান উন্নয়ন আর জীবনমান নিয়ে আলোচনা করা যাক।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায়। তাদের তৈরি রাস্তাঘাট, ব্রিজ, ফ্লাইওভার, দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা চোখে পড়ার মতো। পিছিয়ে পড়া জনপদকে মূল ধারার সঙ্গে সংযুক্ত করতে পদ্মা সেতু নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক। একইসঙ্গে ১০টি মেগা প্রকল্পও চলমান। আন্তঃদেশীয় রুটের কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে নানামুখি পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে, যেখানে কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যেই অবশ্য পরিবেশের তোয়াক্কা না করে সক্ষমতা দেখাতে তৈরি হচ্ছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর। প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় প্রকল্পগুলো তৈরির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন সব মহলেই আছে। কারণ জনগণের করের টাকায় বানানো এসব প্রকল্পে তাদের কতটুকু ভূমিকা থাকবে, তা বলাই বাহুল্য।

বিজ্ঞাপন

আসুন, জীবনমান নিয়ে কথা বলি এবার। বেঁচে থাকার পাঁচটি মৌলিক চাহিদার প্রথমটি অর্থাৎ খাদ্যের অবস্থা এখন ভয়াবহ। গ্লোবাল ভিলেজের অংশ হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বলি বাংলাদেশ— এটাই বলবেন তো? তাহলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ— এ কথা যে এতদিন ধরে শুনছি, সেটি মিথ্যা? চাল, মাছ, মাংস, সবজিসহ অনেক কিছুতেই সাফল্য দেখিয়েছেন দেশের বিজ্ঞানীরা। উৎপাদনের দিক থেকেও টপ টেন, কিছু কিছুতে টপ ফাইভের মধ্যে নাকি বাংলাদেশের নাম থাকে। তাহলে এখন প্রয়োজনের সময়ে কেন সংকট হচ্ছে?

এর অর্থ হতে পারে দু’টি। এক, এ সংক্রান্ত তথ্য-পরিসংখ্যানগুলো মিথ্যা; দুই, কাঠামোগত সরবরাহ ব্যবস্থায় চূড়ান্ত সংকট। আগে যেমন বলছিলাম, টাকা থাকলেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে সেই টাকা কোনো কাজে না-ও আসতে পারে। খাদ্যের ক্ষেত্রেও তথ্য-পরিসংখ্যান সত্য ধরে নিলে ব্যবস্থাপনার সংকটকেই স্বীকার করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মেনে নিতে হবে, এ ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহের কাঠামোগত সুব্যবস্থাপনা এখন পর্যন্ত আমরা তৈরি করতে পারিনি এবং এই ইস্যুতে লাগামও ঠিক সরকারের হাতে নেই।

বলতে পারেন, এতই যখন সংকট তখনো তো দোকানে পণ্য নষ্ট হচ্ছে না, মানুষ তো রাস্তায় নামছে না! এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আর মিথ্যা অভিযোগে জেলে ভরাসহ শারীরিক-মানসিক নানা হয়রানির কথাগুলোও প্রাসঙ্গিকভাবে চলে আসতে পারে। তাছাড়া সাধারণ মানুষের ব্যাগ না ভরলেও তার জায়গায় একসঙ্গে ৫ কেজি গরুর মাংস কিনে সেই জায়গা কিন্তু পূরণ করে দিচ্ছে পথে পথে চাঁদা, ঘুষ নেওয়া, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারী কেউ না কেউ।

প্রতি বছর সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বা সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেই টাকা প্রকৃত চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিটির কাছে পৌঁছায় না। ‘জনপ্রতিনিধি’রা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের নামে সেই টাকার বড় একটি অংশই যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন, তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করার মতো খুব বেশি মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। জবাবদিহিতা না থাকা ও অব্যবস্থাপনার কারণে পরিস্থিতি কী হতে পারে, তারই এক ভয়াবহ চিত্র এটি।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র খানা জরিপ অনুযায়ী, করোনার প্রভাবে ২০২০ সালে গ্রামে দারিদ্র্যের হার বেড়ে হয়েছে ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ। একই সময়ে শহরাঞ্চলে সার্বিক দারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশে। এই হার আগে ছিল প্রায় অর্ধেক। নতুন এই দরিদ্রদের জন্য বাজেটে কী থাকছে, সেটি দেখার বিষয়।

করোনায় আমরা স্বাস্থ্য খাতের বিপর্যয় দেখেছি। শয্যা, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, দক্ষ জনবলের অভাব দেখেছি। দেখেছি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার কৌশল। প্রথমবার করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খেতে গিয়ে বাজেট ঠিকমতো করা যায়নি, মেনে নিলাম। কিন্তু চলতি বছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানোর কী রূপরেখা ছিল? প্রতিবছর লাখ লাখ রোগী ভালো চিকিৎসা সেবার আশায় ভারত যাচ্ছেন। সরকার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। তবুও স্বাস্থ্য খাতকে জনবান্ধব করা গেল না।

করোনার দুই বছরে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উঠে এসেছে আইসিটি খাত। সেখানেও বিপর্যয়। ২০০৮ সালের আওয়ামী নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকারের  নির্বাচনি ইশতেহারে টার্নিং পয়েন্ট ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা। কিন্তু করোনায় দেখিয়ে দিলো আসল চিত্র। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা গ্রামে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না থাকা, ব্রডব্যান্ড লাইন না থাকা, মোবাইল ডাটার খরচ বেড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে তাদের। অথচ আইসিটি খাত নিয়েও বাজেটে তেমন কিছুই ছিল না।

তাহলে কী দাঁড়াল বিষয়টি? এই বাস্তবতায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে চারিদিকে যে ব্যাপক উচ্চমার্গীয় আলোচনা শুরু হয়েছে, সেই আলোচনা অনুযায়ী আমরা কি সত্যিই সেই বিপ্লবে যুক্ত হতে পারব? আজকাল ছেলেমেয়েরা রোবট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, ডাটা সায়েন্স নিয়ে পড়তে, জানতে আগ্রহী। কিন্তু দেশের কারিকুলাম বা বিভিন্ন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট তাকে সেভাবে এগিয়ে দিতে পারছে না। অন্যদিকে দুর্নীতি কমিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দেশের কয়টা খাত কাগজবিহীন হয়েছে? সরকারের অনেক মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতরের ওয়েবসাইটই তো মাসের পর মাস আপডেট হয় না! তাহলে ডিজিটাল বলতে আওয়ামী লীগ তখন কি বুঝিয়েছিল?

আসছে বাজেটে নতুন আলোচনার বিষয়— পাচার হওয়া টাকা সুনির্দিষ্ট কর দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেবে সরকার। শুধু তাই নয়, অর্থ পাচারকারীদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনা হবে! বিষয়টি পড়ে অনেকক্ষণ ভাবলাম— যারা পাচার করছে তারা কি দেশে না রাখতে পেরে বিদেশে পাঠাচ্ছে? এর সপক্ষে যুক্তি থাকতে পারে। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে আমার মনে হয় না এখানে কোনো সুফল মিলবে! কারণ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম অপ্রদর্শিত অর্থ নির্দিষ্ট কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এত বছরে মাত্র আড়াই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে সরকার। ফলে, যেখানে টাকা পাচারের প্রধান উদ্দেশ্য নিজের ও পরিবারের সুরক্ষা বা উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করা, সেখানে আত্মপরিচয়ে সরকারকে সুবোধ বালকের মতো কর দিয়ে টাকা ফিরিয়ে আনার বিষয়টি রীতিমতো হাস্যকর মনে হচ্ছে আমার কাছে!

যাই হোক, চাহিদা অনুযায়ী টাকার জোগান দেওয়া হলেও অদক্ষতা আর ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি কাজের মান নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে। পরতে পরতে ঘুষ, দুর্নীতি, লুটপাটের বিপরীতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে কোনো খাতেই হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে কোনো ফায়দা নেই।

উঠতি একটি তরুণ গোষ্ঠী নিজেদের মতো ছোট ছোট উদ্যোগ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এছাড়া, গত দুই বছরে করোনায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কঠিন ঝড় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এসএমই খাতের উদ্যোক্তারাও সব ঝড়-ঝঞ্ঝা-প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও যথাসাধ্য টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন। সরকার এই সময়ে বিভিন্ন খাতের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা ঘোষণা করলেও এরকম উদ্যোক্তাদের বেশিরভাগের কাছেই সেই সহায়তা পৌঁছেনি। এখানেও মুন্সীয়ানা দেখাতে হবে যে অর্থ কোথায় বরাদ্দ হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, তৈরি পোশাক খাত যতই বৈদেশিক মুদ্রা এনে দিক, এখনো দেশের অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকাশক্তি হিসেবে ব্যক্তি খাত ও এসএমই খাতকে অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। এসব খাতকে সুরক্ষা দিলে অর্থনীতির অবস্থা কখনো খারাপ হলেও তা কখনো ভেঙে পড়বে না।

জিডিপি ও মাথাপিছু আয়ে প্রবৃদ্ধি আর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ে সরকার ও সরকারদলীয় নেতাদের সন্তুষ্টি রয়েছে। তবে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে বহুল প্রচলিত সেই কথাটিও মনে রাখতে হবে— ‘lies, damned lies and statistics’! এসব সূচকের অবাস্তব সংখ্যা নির্ধারণ করে দেশকে সক্ষম দেখানো যায় ঠিকই, তবে সঠিক ব্যবস্থাপনায় না ঢুকতে পারলে অর্থনীতি ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও সবসময়ই থাকে মাথার ওপরেই।

শুরুতে বলা অর্থনীতিবিদ গ্যারি বেকারের কথায় বরং ফিরে আসি। সবকিছুর আগে জানতে হবে মানুষকে। মানুষকে বিশ্লেষণ করতে পারলে সমস্যার অর্ধেক সমাধান সেখানেই। মানুষের শিক্ষা ও বিবেচনাবোধে যদি টাকা খরচ করা যায়, তাহলে অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনা কমে আসবে। বাজেট হবে বাস্তবায়নযোগ্য। জনগণের টাকার সঠিক ব্যবহার হবে। তখন সরকারকে টিকে থাকতে আইন, লাঠি বা অন্ধকারের সাহায্য নিতে হবে না! সেটা যেন না নিতে হয়— সেই প্রত্যাশা নিশ্চয় সবারই।

ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন